DA নিয়ে দীর্ঘদিনের টানাপড়েন! এর মধ্যেই ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য, বকেয়া মিলবে তো?

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) মামলা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিচারাধীন। সম্প্রতি বিচারপতি সঞ্জয় করোল ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের তরফ থেকে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (DA) ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেয় আদালত। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে জানা যাচ্ছে, ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে টানাপড়েন চলছে

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মী ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে টানাপড়েন আজকের নয়। ধাপে ধাপে এই জল সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়িয়েছে। সম্প্রতি শীর্ষ আদালতের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে খানিকটা স্বস্তি পেয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তবে এবার জানা গেল, নবান্নের তরফ থেকে ‘মডিফিকেশন পিটিশন’ ফাইল করা হয়েছে।

সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানো নিয়ে বিচারপতি করোল ও বিচারপতি মিশ্রের বেঞ্চের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের বেশ কিছু পরিবর্তন চেয়ে এদেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য (Government of West Bengal)। আদালতের নির্দেশের কিছু বিষয় স্পষ্ট না হওয়ায় সেগুলির ব্যাখ্যা চেয়ে ‘মডিফিকেশন পিটিশন’ ফাইল করেছে নবান্ন।

আরও পড়ুনঃ ‘এটা জেহাদিদের সরকার, মমতা মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না, লিখে রাখুন’! চরম হুঙ্কার শুভেন্দুর

এদিকে সুপ্রিম কোর্টে বর্তমানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। জুলাই মাসে ফের আদালত খুলবে। সেই জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেও অন্তর্বর্তী নির্দেশ অনুযায়ী বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (DA Arrear Case) ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার কাজও চালিয়ে যাচ্ছে নবান্ন। কীভাবে এই বকেয়া মেটানো হবে, সেই নিয়ে তোরজোড় চলছে বলে খবর।

dearness allowance

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ১৮% হারে ডিএ (Dearness Allowance) পাচ্ছেন। গত মে মাসে বকেয়া ডিএ মামলায় খানিকটা স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে গ্রীষ্মাবকাশ শেষে রাজ্য সরকারের ‘মডিফিকেশন পিটিশন’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয় সেটাই দেখার।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।