বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অপেক্ষার প্রহর গুনছেন সরকারি কর্মীরা। পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী, সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) ২৫ শতাংশ ৬ সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময়সীমা প্রায় শেষের পথে। হাতে মাত্র দু’দিন। তবে এখনও পর্যন্ত বকেয়া ডিএ ইস্যুতে নীরব রাজ্য সরকার। সেই নিয়ে কার্যত আশঙ্কায় ভুগছেন সরকারি কর্মীরা (Government Employees)।
ডিএ নিয়ে আশঙ্কায় সরকারি কর্মীরা | Dearness Allowance
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি বলেছেন, আজ পর্যন্ত বকেয়া মহার্ঘ ভাতার ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়া নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি রাজ্য সরকার। খাতায়কলমে – বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দু’দিন বাকি আছে মাত্র। শুক্রবার পর্যন্ত বকেয়া ডিএ মেটানোর সময় আছে। যদিও সেদিন রথের কারণে সরকারি ছুটি থাকবে তাও সেদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটানো না হলে, রাজ্যের অর্থসচিব এবং মুখ্যসচিবের নামে নোটিশ করা হবে। সেই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকদিনের সময় দেওয়া হবে। তারপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে দায়ের করা হবে আদালত অবমাননার মামলা।
আরও পড়ুন: DA বাড়ার অপেক্ষায়! তার আগেই সরকারি কর্মীদের বড় সুখবর দিল সরকার, খুশি সকলে
মুখ্যমন্ত্রীর ঔদ্ধত্য দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মলয়বাবু বলেন, ‘রাজ্য সরকারের ঔদ্ধত্য আমরা ভাঙব। তবে আবারও বলে রাখি, রাজ্য সরকারকে ডিএ দিতেই হবে। দিতেই হবে।’ সরকারি ভাবে ডিএ নিয়ে কিছু না বলা হলেও একাধিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মিটিয়ে দিতে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে রাজ্য সরকার। অপেক্ষা শুধু বকেয়া হাতে আসার।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/OBH0qPnUAmo?si=xBM-5RvzEOdIhn46
এই প্রসঙ্গেই আবার সরকারি কর্মীরা বলছেন, ঋণ কেন নিতে হবে? ডিএ যে আইনসঙ্গত অধিকার এটা সুপ্রিম কোর্টও পরোক্ষ ভাবে স্বীকার করে নিয়েছে। লোক দেখানার জন্য ঋণ নেওয়া হয়েছে বলেও কটাক্ষ করছেন সরকারি কর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৬ই মে ডিএ মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ডিএ মামলায় বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বকেয়া মহার্ঘ ভাতার ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সময় ৬ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। আগস্ট মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তার আগে আগামী ২৭ জুনের মধ্যে বকেয়া ডিএ-র ওই অংশ মেটাতে হবে সরকারকে।