মার্চেও বাংলার DA মামলা শুনবে না সুপ্রিম কোর্ট? নেপথ্যে কি কারণ? এবার সামনে বড় তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা (Dearness Allowance) চলছে। বর্তমানে ২০২৫। কোনো সুরাহা হয়নি এতদিনে শুধু মিলেছে একের পর এক তারিখ। যা নিয়ে হতাশায় ভেঙে পড়ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। গত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ডিএ মামলায় (DA Case) বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন আছে। পর্যাপ্ত সময় না থাকায় তা হচ্ছে না। আগামী ২৫ মার্চ ফের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে আদৌ মার্চে উঠবে ডিএ মামলা?

ঘটনাচক্রে ৭ জানুয়ারির মতো ২৫ মার্চও মঙ্গলবার। এতদিন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে ডিএ মামলা চলছিল। তবে মার্চে আর তা হবে না। জানিয়ে রাখি, মার্চ মাসেই অবসর নিচ্ছেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায়। ফলে নতুন বেঞ্চে উঠবে বাংলার সরকারি কর্মীদের DA মামলা উঠবে। এবার সেখানে ডিএ মামলাকারীরা জয় পাবেন কি না তা বলবে সময়।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে ডিএ মামলা। সুপ্রিম কোর্টে এখন পশ্চিমবঙ্গের যে ডিএ মামলা চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া থাকা মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত। বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। ২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া।

হাইকোর্টের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।

গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয়। তারপর থেকে আরও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এবারেও একই ঘটনা।

dearness allowance

আরও পড়ুন: খরচ ১২ লক্ষ টাকা! একমাত্র শিক্ষিকা পড়াচ্ছেন একজন ছাত্রীকে! কোথায় রয়েছে এই সরকারি স্কুল?

রাজ্য সরকারের আগেই জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনে ডিএ দিতে গেলে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ৪২,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে। যা রাজ্যকে আর্থিকভাবে ধাক্কা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ওদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দাবি, মহার্ঘ ভাতা তাদের আইনসংগত অধিকার। রাজ্যকে ডিএ মিটিয়ে দিতেই হবে। তবে সরকারি কর্মীদের দাবি মানতে নারাজ রাজ্য। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি মানা হবে না বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর