বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এখনও সুপ্রিম কোর্টে ঝুলছে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা (Dearness Allowance)। এর আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার মমালার সঙ্গে অন্যন্য ভাতার বিষয়টিও যুক্ত হয়েছিল। মামলাটি ‘এক্সটেন্সিভ হিয়ারিং’ পর্যায়ে ছিল। ১৫ জুলাই ডিএ মামলার শুনানির পর আদালতের নির্দেশনামায় বলা হয়েছিল, এই মামলার আবেদনের বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন। তাই আপাতত সকলে রাজ্য সরকারি কর্মীকে তাকিয়ে থাকতে হবে আগামী বছরের দিকে। কারণ এরপর একেবারে ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের উঠতে চলেছে পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা (DA Case)।
জাস্টিস ঋষিকেশ রায় এবং জাস্টিস এস ভাট্টি জানুয়ারির মাসের ৭ তারিখের দিনটি ধার্য করেছিলেন ডিএ মামলাটি শোনার জন্য। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। সেই বছর যখন প্রথমবার ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল, তখন এই মামলার শুনেছিলেন বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি ঋষিকেশ রায়। পরে আবার বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে মামলাটি ওঠে।
গত বছরের মার্চে মামলাটি ওঠে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের এজলাসে। ২০২৩ সালেরই এপ্রিল মাসে ডিএ মামলার শুনানি শেষবারের মতো উঠেছিল এই দুই বিচারপতির এজলাসে। এরই মধ্যে অবসর নিয়েছেন বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী। আরও উদ্বেগের খবর হল, ডিএ মামলায় সেই প্রথম থেকেই যুক্ত থাকা বিচারপতি ঋষিকেশ রায় অবসর নিতে চলেছেন ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি।
২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের উঠতে চলেছে ডিএ মামলা। ওই একই মাসেই অবসর নিতে চলেছেন জাস্টিস ঋষিকেশ রায়। এখানেই বিচারপতি ডিএ মামলার বিস্তারিত শুনানি করে তার নিষ্পত্তি করে দিয়ে যাবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তায় সরকারি কর্মীরা। বাড়ছে উদ্বেগ। যদি জানুয়ারিতে নিষ্পত্তি না হয় তাহলে কবে এই মামলার জট কাটবে তাও বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া। উচ্চ আদালতের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।
আরও পড়ুন: বাড়ছে চাপ! এবার আইনি গ্যাঁড়াকলে পড়তে চলেছে রাজ্য সরকার? যা করছেন সরকারি কর্মচারীরা…
সেই ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। বর্তমানে ২০২৪ সাল। হাইকোর্টে ডিএ মামলাকারীরা জয় পেয়েছিল। গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয়। তারপর থেকে আরও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে।