বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর তারিখ সামনে আসছে। তবে মামলার জট খোলার নাম নেই। সেই ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) চলছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (Dearness Allowance) মামলা। এখনও সুরাহা হয়নি। এখনও পর্যন্ত ১৩ বার পিছিয়েছে ডিএ মামলা। আগামী বছর ৭ জানুয়ারি মামলাটি শুনানির জন্য ওঠার কথা রয়েছে শীর্ষ আদালতে। তবে সেই দিনই কি মামলাটি উঠবে আদালতে? এই নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন সরকারি কর্মীরা।
ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে অ্যাডভান্স লিস্ট। যদিও তা দেখে ৭ জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলাটি উঠবে কি না, তা বোঝা দায়। কারণঅ্যাডভান্স লিস্টের ৭০৬ নং ক্রমতালিকায় আছে মামলাটি। তাই বর্তমানে ডেইলি কজ লিস্টের অপেক্ষায় রয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তারপর সবটা পরিষ্কার হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে কজ লিস্টে পিছনের দিকে থাকায় একাধিকবার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়েছে শীর্ষ আদালতে। এবারেও যদি তেমনটা হয় সেই চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে সরকারি কর্মীদের। ডেইলি কজ লিস্ট বেরোলে তা তিনি জানিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে এখন পশ্চিমবঙ্গের যে ডিএ মামলা চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া থাকা মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত। বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। ২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেবার জয় পেয়েও বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেলেনি।
এরপরই উচ্চ আদালতের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেই ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের পোয়া বারো! শীঘ্রই বাড়ছে DA! কত শতাংশ
গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয়। তারপর থেকে আরও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এরপর ৭ জানুয়ারি জাস্টিস ঋষিকেশ রায় এবং জাস্টিস এস ভাট্টির বেঞ্চে এই মামলা উঠতে চলেছে।