বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তারপরই সুপ্রিম কোর্টে উঠবে ডিএ মামলা (Dearness Allowance)। যে মামলার রায়ের দিকে তাকিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা।রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত এই মামলাটি প্রথমার্ধের একদম শেষ হিসাবে অবস্থান করছে। অর্থাৎ ১০.৩০ থেকে দুপুর ১ টার মধ্যে ওঠার কথা। মঙ্গলবার ৪৫ নম্বরে আছে ডিএ মামলা (DA Case)। মামলাটি উঠবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে।
ডিএ মামলার শুনানিতে যোগ দিতে ৫ জানুয়ারি কলকাতার শিয়ালদা স্টেশন থেকে দুরন্ত এক্সপ্রেসে করে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন মামলাকারীরা। এই বিষয়ে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ৬ জানুয়ারিতে দিল্লিতে পৌঁছে যাওয়ার পর ৭ তারিখে শুনানির পর সেদিনই কলকাতার উদ্দেশে ফিরে আসবেন।
যদিও আগে এই মামলার শুনানিতে যোগ দিতে বিমানে চেপে দিল্লি যেতেন মলয় মুখোপাধ্যায়রা। কারণ আর্থিক সমস্যা। কিছুদিন আগে সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মলয়বাবু বলেন, ‘এর আগে মামলার শুনানির দিনগুলিতে বিমানে করে দিল্লি গিয়েছি। তবে এখন অর্থের অভাবের কারণে ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছে। আসলে সরকার চাইছে মামলাটিকে দীর্ঘায়িত করতে। যাতে মামলাকারী সরকারি কর্মীদের টাকা ফুরিয়ে যায় এবং সকলে মামলা থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন।’
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে এখন পশ্চিমবঙ্গের যে ডিএ মামলা চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া থাকা মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত। বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। ২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া।
হাইকোর্টের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেই ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। বর্তমানে ২০২৪ সাল। হাইকোর্টে ডিএ মামলাকারীরা জয় পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘DA মামলায় রাজ্য সরকার হারবে’, শুনানির কিছুক্ষণ আগেই এল বড় আপডেট
গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয়। তারপর থেকে আরও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এবারে একেবারে নতুন বছরে রয়েছে শুনানির দিন।