বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একটা নতুন বছর। তবে দাবি পুরনোই। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে এ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের (Government Employees) একাংশ। ধর্না, আন্দোলন কিছুতেই কাজ হয়নি। মামলা হওয়ার পরও নিটফল এখনও শূন্য। সুপ্রিম কোর্টে বারে বারে পিছিয়ে যাচ্ছে মামলার শুনানি। সব মিলিয়ে হতাশ সরকারি কর্মীরা।
আগামী মাসে বিধানসভায় ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট (State Budget 2025) পেশ করবেন বাংলার অর্থপ্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাতে কি কোনো চমক মিলবে? আশায় সরকারি কর্মীরা। গত বছর ফেব্রুয়ারীতে ৪% ডিএ বৃদ্ধি করা হয়েছিল সরকার তরফে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ শতাংশে। এখনও সেই ১৪ শতাংশ হারেই মিলছে। তারপর থেকে আর কোনো সুখবর পায়নি সরকারি কর্মীরা।
উল্লেখ্য, তার আগের বাজেটেও বাংলার সরকারি কর্মীদের জন্য অতিরিক্ত ৩% ডিএ (Dearness Allowance) এর ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। আরও ৩% বাড়িয়ে ৬% ডিএ করা হয়েছিল তাদের। তবে সেই নিয়ে খুশি হননি সরকারি কর্মীরা। তাদের ক্ষোভ আরও বাড়তে থাকে। তারপর মাঝে আরও ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ায় রাজ্য। বাজেটে বাড়ে আরও ৪ শতাংশ।
কম-বেশি ডিএ বাড়ার ‘চল’ রয়েছে বাজেটে। তাই এবারেও সেই আশাতেই রয়েছেন সরকারি কর্মীরা। সম্প্রতি ডিএ ইস্যুতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মহার্ঘ ভাতার বঞ্চনার, সেটার সূত্রপাত আজ থেকে হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে কখনই এ রাজ্যের সরকারি কর্মচারী, শিক্ষকরা কোনওদিনই কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা পাননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে বলতে গেলে মহার্ঘ ভাতা প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছে। ২০২৩ সালে আমরা লাগাতার লড়াই করে তিন কিস্তি আদায় করতে পেরেছি। যে কারণে তিন শতাংশ থেকে বেড়ে তা এখন ১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বকেয়া আছে ৩৯ শতাংশ। আমরা ঠিকমতো লড়াই করতে পারছি না বলে এখনও পর্যন্ত ২০২৫ সালে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির পরিমাণ শূন্য।’ ‘লড়াই ছাড়া উপায় নেই। লড়াইটা যদি দিতে পারেন, আগামী বাজেটে এই সমস্ত কিছু হয়ত জুটলেও জুটতে পারে।’ বলেন ভাস্করবাবু। যদিও সরকার তরফে ডিএ নিয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি। বাজেটে ডিএ আদৌ বাড়ানো হবে কি না তাও জানা যায়নি।