বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের (Loksabha Vote) পরে গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সপ্তম বেতন কমিশন (Pay Commission) কার্যকর করার বিষয়ে কিছু না বলা হলেও দ্বিতীয় বৈঠক পে কমিশনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী সেই বৈঠকে সরকারি কর্মীদের বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি বাস্তবায়নের ক্ষমতা মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে।
এরই মাঝে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের (State Government Employees) প্রতিনিধি দল। এর আগে ভোটের পরই সরকারি কর্মীদের সংগঠনের নেতারা সোজা অর্থ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন। তারপর থেকেই খুব দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করলেন সরকারি কর্মচারীদের প্রতিনিধি দল।
জানা গিয়েছে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে তাদের আশ্বাস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সমস্ত দাবি পূরণ করা হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীদের এই নিয়ে চিন্তা করতে বারণ করেন সিএম।
প্রসঙ্গত বিগত কয়েক মাস ধরেই নতুন বেতন কমিশনের অধীনে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে কর্ণাটকের সরকারি কর্মচারীরা। সে রাজ্যের ৫ লক্ষেরও বেশি সরকারি কর্মচারী এব লক্ষাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেতের আশায় বসে রয়েছেন। এরই মধ্যে সম্প্রতি জানা যায় মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে দ্বিতীয় ক্যাবিনেটের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনার পর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই সপ্তম পে কমিশন আসতে চলেছে।
আরও পড়ুন: মারাত্মক অভিযোগ! মমতার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলায় যা বললেন প্রধান বিচারপতি…
গত ১৬ মার্চ রাজ্যের সপ্তম বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়েছিল রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে। রিপোর্ট অনুযায়ী সুপারিশ করা হয়েছিল, সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন ২৭.৫ শতাংশ বাড়ানো হোক। এদিকে সরকারও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে, কর্ণাটক রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন অন্তত ১৭,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭,০০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে সে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী মাইনে পান।
উল্লেখ্য, নতুন বেতন কমিশনের আওতায় মাইনে বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েক মাস ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য সরকার প্রাথমিক ভাবে পদক্ষেপ করলেও ভোটের আগে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। আগের বিজেপি সরকারের আমলেই সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশনের গঠন করা হয়েছিল। বর্তমান সরকার সেই কমিটির মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত করেছিল। বলে রাখা ভালো, রাজ্যে বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হলে সরকারি কোষাগারের ওপর ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা বোঝা পড়তে পারে।