বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহু প্রতীক্ষার পর জানুয়ারিতেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। তবে সব আশায় জল। এই নিয়ে ১৪ তম বার সর্বোচ্চ আদালতে ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেছে। ফের মার্চে বাংলার বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলা উঠবে সুপ্রিম কোর্টে। এরই মধ্যে বিরাট কাণ্ড ঘটালেন সরকারি কর্মীরা।
ডিএ সংক্রান্ত নয়া আপডেট- Dearness Allowance
জানিয়ে রাখি, ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে আরটিআই (তথ্য জানার অধিকার আইন) দাখিল করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার। Right To Information বা RTI করে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকারের থেকে একাধিক তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
সেই আরটিআই-এ কয়েকটি বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে নয়াদিল্লিতে বঙ্গভবনে কর্মরত এ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের কত শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে, কত শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা ও যাতায়াত ভাতা দেওয়া হয়েছে এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক।
সূত্রের খবর, ইউনিটি ফোরামের সিনিয়র অ্যাডভোকেট করুণা নন্দীর পরামর্শ মত গত ১৪ জানুয়ারি নবান্নের অর্থ দফতর এবং পিডব্লিউডি কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি বিজ্ঞপ্তি কপি ও ২০২৪ সালের জুলাই থেকে বঙ্গভবনে দেওয়া মহার্ঘ ভাতা সহ হাউস রেন্ট ও ট্রাভেল অ্যালোওয়েন্স সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে যে ডিএ মামলার শুনানি চলছে তা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএ মামলা। বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৩% হারে ডিএ পাচ্ছেন। অর্থাৎ কেন্দ্র-রাজ্য ব্যাবধান দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশ।
২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া। উচ্চ আদালতের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট কোনো নির্দেশ দেবে না! কোন মামলায় বললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা?
এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেই ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। বর্তমানে ২০২৪ সাল। হাইকোর্টে ডিএ মামলাকারীরা জয় পেয়েছিল।
গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয়। তারপর থেকে আরও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে।