বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে বাংলার সরকারি কর্মীদের জন্য ৪% ডিএ (Dearness Allowance) বৃদ্ধি করেছে মমতা সরকার। যেখানে তাদের দাবি ছিল কেন্দ্রীয় হারে ডিএ (DA)। এপ্রিল থেকে বর্ধিত হারে ডিএ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বর্তমানে সপ্তম পে কমিশনের আওতায় ৫৩% হারে ডিএ পাচ্ছেন। ফলে কেন্দ্র-রাজ্য ফারাক সামান্য কমে দাড়িয়েছে– ৩৫ শতাংশে (৫৩%-১৮%)।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বাজেট বক্তৃতায় ডিএ প্রসঙ্গ টেনে নাম না করে সিপিএম ও বিজেপির কর্মচারী সংগঠনকে একজোটে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যারা মাঝে মাঝে নাটক করে সরকারি (রাজ্য) কর্মচারিদের মাথা খারাপ করেন তাদের জন্য বলছি। বাম আমলে ৩৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ২০১১ সাল থেকে ডিএ বাবদ ২০২৫-২৬ সাল পর্যন্ত রাজ্য সরকারের খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ২ লক্ষ কোটি টাকা।”
জোর গলায় মমতা বলেন, ‘২০১৯ সালে আমরাই ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু করেছি। তার আগে পর্যন্ত আমরা সরকারি কর্মীদের ৯০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করেছিলাম। যেটার আর্থিক পরিমাণ হল ১ লক্ষ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। ২০১৯ সালে আমরা যখন ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু করি, তখন বেসিক পে’র সঙ্গে ১২৫ শতাংশ ডিএ যোগ করে তাদের বেতন ২.৫৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই বেতন কমিশন অনুযায়ী যে ১৪ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে, তাতে ১৯,০০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই বাজেটে আরও চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের সরকার ডিএ দিয়েছে প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: বিকেল থেকে টানা বৃষ্টি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে, তড়িঘড়ি হলুদ সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দপ্তর
এই বিষয় নিয়ে এবার পাল্টা কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘(মুখ্যমন্ত্রী) ঠিকই বলেছেন যে বাম আমলে ৩৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা ২০০৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বরের মধ্যে দিয়েছিল। অর্থাৎ দু’বছর আট মাসে মোট আট কিস্তির ডিএ দেওয়া হয়েছিল। ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬৫ শতাংশ ডিএ দিয়েছিল এই সরকার। অর্থাৎ ১০০ শতাংশ ডিএ হয়েছিল।’
ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে একসঙ্গে চারটি কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছিল বা ২৫ শতাংশ ডিএ প্রদান করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের আগে ১২৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের কথাটা ঠিক। কিন্তু ষষ্ঠ বেতন কমিশন ২০১৯ সালে হয়নি। ডিএ ছাড়া বেতন কমিশন হয়েছে ২০২০ এর জানুয়ারি মাস থেকে।’