বাংলাহান্ট ডেস্ক : মালদহে (Maldah) ভয়াবহ ঘটনা! বজ্রপাতে মৃত্যু ১১ জনের। বৃহস্পতিবার মালদহে দুপুরে হঠাৎ করেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তাতেই ঘটে গেলো বড় বিপর্যয়। পৃথক পৃথক ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। একই সঙ্গে তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে পুরাতন মালদহের সাহাপুরে। সূত্রের খবর, ওই তিনজন ব্যক্তি আম বাগানে আম কুড়ানো ও পাহাড়ার করছিলেন সেই সময়। তখনই বজরা-ঘাতে মৃত্যু হয় তাঁদের। মৃতরা হলেন চন্দন সাহানি (৪০), রাজ মৃধা (১৬) ও মনোজিৎ মণ্ডল (২১)।
মালদহে বজ্জার খাতায় মৃতদের তালিকায় রয়েছেন তিন নাবালক, দুই যুবক ও এক প্রৌঢ়াও। জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, বজ্রাঘাতে মৃত্যুর পরিবার-পরিজন এদের হাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ লক্ষ টাকা করে তুলে দেওয়া হবে। আরো জানা গিয়েছে যে, গাজোলের আদিনাতে আম বাগানে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে এক একাদশ শ্রেণির ছাত্রর। মৃতের না। অসিত সাহা (১৯)। ঝড়ের সময় আম বাগানে আম কুড়োতে গিয়েই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার জুড়ে এবং পরিবারের শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরোও পড়ুন : ‘ভিক্ষাবৃত্তি’তে এনেছিলেন যুগান্তকারী বদল! শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন দেশের প্রথম ডিজিটাল ভিখারি
মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের কুরশাডাঙা গ্ৰামে স্বামী স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বজ্রাঘাতে। জানা গিয়েছে যে, তারা সেই সময় চাষের কাজ করতে মাঠে গিয়েছিলেন। মৃত দম্পতি হলে , নয়ন রায় (২৩), প্রিয়াঙ্কা রায় (২০)। পুরো মালদহ জুড়ে পুরাতন মালদহে ৩ জন, হরিশ্চন্দ্রপুরে ২ জন, মানিকচকে ২ জনের বজ্রপাতের মৃত্যুর পাশাপাশি, অন্তত একজন করে মৃত্যু হয়েছে রতুয়া, গাজোল ও ইংরেজবাজারে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন অনেকেই। বর্তমানে তারা মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে খবর।
আকস্মিক বজ্রপাতের ফলে এক গৃহবধূ সহ আরো দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে একজন ইংরেজবাজারের বুধিয়ার ফাতেমা বিবি। অন্যজন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র দুল্লু মণ্ডল। সে পুরাতন মালদহের সাহাপুরের বাসিন্দা। মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে। প্রচন্ড গরমের পর দুপুরবেলা হঠাৎ করেই আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি আসে। শুরু হয় ঝড় এবং বজ্রপাত। সেই সময়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।