বাংলা হান্ট ডেস্ক: কয়েক দিন ধরেই প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চণ্ডীগড়-মানালি এবং শিমলা-কিন্নাউর জাতীয় মহাসড়ক-সহ একাধিক রাস্তা। যার জন্য আটকে পড়েছে বহু মানুষ।
লাহুল-স্পিতিতে ধসের ২ দিন পরও আটকে রয়েছেন ২,০০০ মানুষ। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই পর্যটক। ধস ও বন্যায় মানালি-লেহ ও মানালি-স্পিতি হাইওয়ের বিভিন্ন অংশ বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টিজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫। বন্যায় ক্ষয়তক্ষতি মেটাতে বিশেষত রাস্তা পুনর্গঠন, জল ও বিদ্যুত্ সরবরাহ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সোমবার ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর। যত দ্রুত সম্ভব কালকা-শিমলা, পাঠানকোট-মান্দি-মানালির মতো গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়কগুলি থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
লাহুলের সিস্সু ও কোকসারের মাঝে আটকে রয়েছেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ ও ৪০০ গাড়ি। গ্রামফু ও কাজার মাঝে আটকে ৩০০-রও বেশি পর্যটক। সিস্সুর কাছে আটকে ভারতীয় সেনার প্রায় ৪০টি লাদাখগামী গাড়ি। ধস ও তুষারপাতের পর চন্দ্রতাল লেক থেকে সোমবার ১২৭ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের কাজায় পাঠানো হয়েছে। যে পর্যটকরা হোটেলে আছেন, তাঁরা নিরাপদ। কিন্তু যাঁরা গাড়িতে বা তাঁবুতে দিন কাটাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে তীব্র খাদ্য-জল-ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। হিসেব করে দেখা গিয়েছে, শিমলায় প্রায় ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।