বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহদুর শাস্ত্রীর 115 তম জন্মদিন যদিও আজ মহত্মা গান্ধীরও জন্মদিন। তাই দেশজুড়ে মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মদিন। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালনে দেশজুড়ে নানা উত্সবের আয়োজন করাও হয়েছে। তবে এই লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর কারণ কিন্তু অন্তরালে রয়ে গেছে। হাজার আলোর মধ্যেও অন্ধকারে রয়েছে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর কারণ কার্যত চাপা পড়ে গেছে। তবে আসলে কি হয়েছিল লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর দিন, তা জানতে সকলেই আগ্রহী, যদিও উত্তর অনেকেরই অজানা। এসব প্রশ্নের উত্তর অধরা আজও।
1966সালে 10 জানুয়ারী তারিখে পাকিস্তানের সঙ্গে তাসখন্দ চুক্তি সাক্ষর করার কিছুক্ষণের মধ্যেই রহস্যজনক ভাবে মারা যান লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। কিন্তু মৃত্যুর কারণ আজও অজানা। কেই বলেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আবার কোনো তথ্য বলে থাকে তাঁকে বিষ দিয়ে মেরে দেওয়া হয়েছিল। শাস্ত্রীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে একসময় সরব হয়েছিলেন অটরবিহারী বাজপেয়ী। কিন্তু সেই সব প্রশ্ন প্রশ্নই থেকে গেছে।
তবে সেদিন চুক্তি সাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত টি এন কাউল, বাড়ি ফিরে এসে রাঁধুনির হাতে রান্নাও খেয়েছিলেন তিনি। খাবার খাওয়ার পর এক গ্লাস দুধও খেয়েছিলেন কিন্তু সেই দুধ খাওয়ার ঠিক দু ঘন্টা পর তাঁর অসুস্থতা ধরা পড়ে তারপর তাঁর মৃত্যু হয়।তবে বেশিরভাগ তথ্যই বলে দুধে বিষ মেশানো ছিল। কিন্তু মিশিয়েছে কে, এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন, যা বারে বারে উঠে এসেছে। তবে গোয়েন্দা সংস্থার চোখে পড়েছিল শাস্ত্রীর রাশিয়ান আয়াকে। আসলে দেশে শাস্ত্রীর মৃতদেহ ফিরলে ময়নাতদন্তে বাধ সাধেন নন্দা, তারপর তাঁর দুই ছেলেও মারাও যান। তাই তরপর থেকে রহস্যেই ঘেরা রয়েছে শাস্ত্রীর মৃত্যু।