সৌতিক চক্রবর্তী,বোলপুর,বীরভূমঃ বোলপুর থানার অন্তর্গত ত্রিশূলা পট্টির সবুজপল্লীর বাসিন্দা আনন্দময়ী দাস (৫১) নামে এক বৃদ্ধা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে আজ অর্থাৎ বুধবার বিকাল বেলা বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু ওই বৃদ্ধাকে দেখে ওই হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে থাকা ডাক্তার দেখে জানান বৃদ্ধা আর বেঁচে নেই। ওঁনার কথা মতো পরিবারের সদস্যরা মৃত বৃদ্ধাকে বাড়ি নিয়ে চলে এলে উনি হাত,পা নাড়তে থাকেন। এমনটাই দাবি পরিবারের সদস্যদের। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিছুক্ষণ উত্তপ্ত থাকার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পরিবারের এক সদস্যের দাবি,“ডাক্তারবাবুর কথা মতো বৃদ্ধাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় রোগী হঠাৎ হাত পা নাড়তে থাকে, পাশাপাশি শ্বাস প্রশ্বাসও চলতে থাকে। এমনকি পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বৃদ্ধা রাস্তায় জলও খেতে চাই। কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন আবারও মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।”
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ,“আমরা প্রথম যখন হাসপাতালে নিয়ে আসি তখন যদি তাকে ভর্তি করে ঠিকমতো চিকিৎসা করতো ডাক্তারবাবুরা তাহলে হয়তো বেঁচে যেতেন। কিন্তু ভালোভাবে চিকিৎসা না করে প্রথমেই জানিয়ে দেন মারা গেছে।”
বোলপুর হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে থাকা ওই ডাক্তার জানান,“প্রথমবার যখন বৃদ্ধাকে নিয়ে আসা হয়েছিল তখন সে বেঁচে ছিল না। তা আমি খুব স্পষ্টভাবে দেখেছি। এমনকি শুধু আমি নয় আমার সিনিয়র চিকিৎসকেরাও তা দেখেছেন।”