বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ১৪৪ ধারা জারী করেও এবং ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করেও উত্তরপূর্ব দিল্লি (Delhi) এলাকায় থামানো গেল না আন্দোলন। ঝামেলা ঠেকাতে উত্তরপূর্ব দিল্লির ৪টি জায়গায় কারফিউ (Curfew) জারী করা হল। এখনও অবধি মৃতের সংখ্যা ১৭ জন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঝামেলা শুরু হয় ভজনপুরায় (bhajanpura)। ঝামেলাকারীরা লাঠি-রড নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। চাঁদবাগে দোকানপাট ভাঙচুর করে দেয় তাঁরা। অল্প সংখ্যক পুলিশ থাকায়, তাঁরা কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবী জানায় স্থানীয়রা। দিল্লির পুলিস কমিশনার অমূল্য পট্টনায়ক বলেন, হাঙ্গামাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গন্ডগোলের জায়গাগুলতে যথেষ্ট পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমাদের সব সহযোগিতা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে।
তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথেই আবার নতুন করে করাবল নগর (Karabal Nagar), মৌজপুর (Mouzpur), ভজনপুরা, বিজয় পার্ক, যমুনা বিহারের মতো এলাকায় ঝামেলা শুরু হয়ে যায়।হামলাকারীরা দমকলের গাড়ির ওপরে পাথর ছুড়তে শুরু করে। এমনকি কোথাও আবার তাঁরা আধাসেনার ওপরেও অ্যাসিড ছুড়তে থাকে। তাঁরা গোকুলপুরে (Gokulpur) একটি টায়ারের বাজারে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং মৌজপুরে টোটোযাত্রীদের উপরও হালমা করা হয়।
দিল্লির পুলিসের স্পেশাল সিপি প্রবীর রঞ্জন (Prabir Ranjan) সংবাদমাধ্যমকে জানান, জাফরাবাদ, মৌজপুর, চাঁদ বাগ ও করাবল নগর এই চারটি জায়গায় পরিস্থিতির অবন্নতির কারণে কারফিউ জারি করা হয়েছে। দিল্লী পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেসকল ব্যক্তিরা হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করবে, তাঁদের দেখলেই ,গুলি করতে হবে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia) টুইট করে বলেন, ‘কোন গুজবে কান দেবেন না। আগে নিজে দেখবেন, তাঁর পর বিশ্বাস করবেন’। অপরদিকে দিল্লির প্রাক্তন উপ রাজ্যপাল নাজিব জং সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘পুলিশ রয়েছে প্রায় সত্তর হাজার। আর যেসকল পুলিশ ভিআইপি ডিউটিতে রয়েছে, তাঁদের এই পরিস্থিতিতে কাজে লাগানো উচিত। এবং ২৪ ঘণ্টা আগেই কারফিউ জারী করতে পারত’।