বাংলা হান্ট ডেস্ক : যত সময় গেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ততই নিজেদের পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার মজবুত করেছে। আমেরিকা, রাশিয়া থেকে ভারতবর্ষ, পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত প্রত্যেকটি দেশ। আপনাদের যদি পরমাণু বোমা কিভাবে নিক্ষেপ করা হয় সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাহলে আপনাদের মনে হয়তো ভেসে উঠবে আকাশ থেকে নিক্ষেপিত কোন দৃশ্য। অনেকেই ভাবেন, যেভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্লেন গিয়ে ল্যান্ড করে ঠিক তেমনভাবেই পরমাণু অস্ত্র শত্রু দেশে গিয়ে হামলা করতে পারে। তবে এরই মধ্যে ভিন্নভাবে ভাবনা চিন্তা করে রাশিয়া এমন একটি ট্রেন তৈরি করেছে যা দেখলে আপনি বিশ্বাসই করতে পারবেন না যে এটি একটি পরমাণু অস্ত্র সম্ভার।
রাশিয়ার এই ‘নিউক্লিয়ার ট্রেন’ এখন রীতিমত আগ্রহের বিষয়বস্তু সকলের কাছে। অন্যান্য পশ্চিমি দেশগুলোকে টেক্কা দিতে রাশিয়া বহু বছর ধরে তাদের অস্ত্র ভান্ডার আধুনিক থেকে আধুনিকতর করছে। যেখানে অন্যান্য দেশ অত্যাধুনিক অস্ত্র ভান্ডারের উপর অর্থ ব্যয় করছে সেখানে রাশিয়া একটি ট্রেনকে বানিয়েছে অস্ত্র ভান্ডার। এক ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমের দাবি, রাশিয়ার এই গুপ্ত ট্রেনটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক গুপ্ত ইউনিটের মালিকানাধীন।
পাশাপাশি তারা আরও দাবি করেছে এই ট্রেনটি সম্প্রতি ক্রেমলিনের উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। অন্যান্য দেশের কাছে এই ট্রেনটির নাম ‘আরটি-২৩ মোলোডেতস’। মোলোডেতস এর রুশ অর্থ ‘সাহসী মানুষ’। অন্যদিকে, ‘এসএস-২৪ স্ক্যালপেল’ এই ছদ্মনামটিতে খাতায় কলমে অন্তর্ভুক্তি আছে ন্যাটোর কাছে। ব্রিটিশ মিডিয়া দাবি করেছে, এই ট্রেনটি গোটা রাশিয়া জুড়ে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু অত্যন্ত সাধারণ দেখতে হওয়ায় এই ট্রেনটিকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায় না। তাই অনেকেই মজা করে এই ট্রেনটির নাম দিয়েছেন ‘ভূতুড়ে নিউক্লিয়ার ট্রেন’।
‘ফাউন্ড অ্যান্ড এক্সপ্লেনড’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল দাবি করেছে, এই ট্রেনটি প্রতিদিন ১৬০০ কিলোমিটার চক্কর কাটে। সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজত্বকালে নকশা করা এই ট্রেনটিতে রয়েছে ৩টি করে লোকোমোটিভ এবং ওয়াগন। ৪ টি রেলকারও রয়ছে এরসাথে। বাইরে থেকে একে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন বলেও ভুল হতে পারে অনেকের।
জানা গিয়েছে, এই ট্রেনটি নিজে থেকেই একটানা ২৮ দিন সফর করতে সক্ষম। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলে এই ট্রেনের গতি কমে না। ১০টি এমআইআরভি ওয়ারহেড যুক্ত এই ট্রেনটি থেকে ৫৫০ কিলো টিএনটি বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব। নির্দেশ পেলে মাত্র তিন মিনিটেই পরমাণু ক্ষেপণ করতে সক্ষম এই ট্রেনটি।