বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই এই নিয়ে সরব চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। ২০০১ সালের একটি ঘটনা তুলে ধরে চিকিৎসককে তোপ দেগেছেন তিনি। পাল্টা দিয়েছেন সুবর্ণও।
চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনলেন তৃণমূল নেতা (Debangshu Bhattacharya)?
বুধবার নিজের সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন দেবাংশু। সেখানে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ছবি দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গেই রয়েছে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর (Dr Subarna Goswami) ছবি। ক্যাপশনে লেখা, ‘২০০১ সালের ২৫ আগস্ট, আরজি কর কলেজের হস্টেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সৌমিত্র বিশ্বাসের। অভিযোগ ওঠে, হস্টেলের মধ্যে পর্ণ চক্র চালাতো সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের নেতারা। তার জেরেই এই খুন’।
দেবাংশু লেখেন, সেই সময় এই ঘটনা নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়েছিল। তবে প্রয়াত ডাক্তার সৌমিত্র বিশ্বাসের মা ন্যায়বিচার পাননি। সেদিন কোনও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে আন্দোলনও হয়নি বলে দাবি করেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) যুব নেতা। এরপরেই চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে নিশানা করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা! হাসপাতালে সিসিটিভির জন্য বরাদ্দ ১ টাকা! ফের সুপ্রিম-প্রশ্নের মুখে রাজ্য
দেবাংশু লেখেন, ‘…সেদিন ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছিলেন আরজি করের এসএফআই নেতা সুবর্ণ গোস্বামী। হ্যাঁ, সেই একই ব্যক্তি যিনি তিলোত্তমা কাণ্ডে গলার শিরা ফুলিয়ে ১৫০ গ্রামের থিওরি বলেছিলেন। সেদিনের ছাত্র খুন ও পর্ণ চক্রের মূল পান্ডা আজকের আন্দোলনের প্রধান মুখ!’
ইতিমধ্যেই দেবাংশুর (Debangshu Bhattacharya) পোস্টের বিষয়টি চোখে পড়েছে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর। সম্পূর্ণ বিষয়টি ‘চক্রান্ত’ এবং ‘কুৎসা’ বলে দাবি করেছেন তিনি। চিকিৎসক বলেন, ‘আরজি করের ঘটনায় শাসকদল বিব্রত। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ওরা যে এই ধরণের কুৎসা করবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে যত কুৎসা করবে আন্দোলন তত তীব্রতর হবে’। একইসঙ্গে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
২০০১ সালের ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘তখন আমি আরজি কর ক্যাম্পাসে থাকতাম। বেলগাছিয়াতে আরজি করের একটি হস্টেল ছিল। সেখানে তৃতীয় বর্ষের একজন ছাত্র আত্মহত্যা করে। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। সিআইডি ওই ঘটনার তদন্ত করেছিল। বিচারবিভাগীয় তদন্তও হয়। কখনও ওই ঘটনায় এসএফআইয়ের নাম উঠে আসেনি। বরং ওই ছাত্র ঘনিষ্ঠ ৪ জনকে জেরা করেছিল পুলিশ। ওরা সবাই টিএমসিপির সদস্য। ওদের মধ্যে একজনের জেলও হয়েছিল’। ডাক্তারি পড়ুয়া মৃত্যুর ওই ঘটনায় তৃণমূলের একসময়কার জোটসঙ্গী এসইউসিআইয়ের ছাত্র সংগঠনের নামও জড়িয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।