বাংলাহান্ট ডেস্ক : নতুন ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি ছিল অগ্নিগর্ভ। কলকাতায় প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে অশান্তির আঁচ। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায় কয়েকদিন ধরে অশান্তি, হিংসার মাত্রা উঠেছিল চরমে। যদিও পুলিশের মতে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। এবার পালটা বিজেপির দিকেই আঙুল তুললেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। সন্দেশখালির ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, ফাঁদে পা না দিতে।
মুর্শিদাবাদ অশান্তির ঘটনায় বিজেপিকেই কটাক্ষ দেবাংশুর (Debangshu Bhattacharya)
মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে দেবাংশুর (Debangshu Bhattacharya) মুখে শোনা গেল সম্প্রীতির বার্তা। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সম্প্রীতি এবং শান্তি রক্ষার বার্তা দিয়েছিলেন। কোনো রকম রাজনৈতিক প্ররোচনায় পা না দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। দলনেত্রীর সুরে সুর মিলিয়েই দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya) বলেন, বাংলায় সম্প্রীতি থাকলে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আর সেজন্য সেটাই সবার প্রথমে নষ্ট করার চেষ্টা করা হবে।
সম্প্রীতির বার্তা দিলেন তৃণমূল নেতা: তিনি আরো বলেন, ‘ওরা জানে যে বাংলায় জিততে হলে প্রথমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেওয়াল ভাঙতে হবে। সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরবে। আমাদের যত ক্ষতি হবে বিজেপির তত আনন্দ’। এরপরেই দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya) বার্তা দেন, বাংলার সমস্ত মানুষকে অনুরোধ, বিজেপির পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। তাঁর দাবি, অশান্তি হলে বিজেপি নেতাদের ছেলেদের গায়ে হাত পড়ে না। বিজেপির বেশিরভাগ নেতা মন্ত্রীদের ছেলেমেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করছে। রক্ত ঝরে শুধু সাধারণ মানুষের।
আরো পড়ুন : SSC ইস্যু: হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল! এবার বড় পদক্ষেপের পথে চাকরিহারারা, চাপে রাজ্য!
সরাসরি বার্তা বিরোধী দলনেতাকে: সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে দেবাংশু বলেন, সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে যা হওয়ার হবে, প্রশাসন যা করার করবে। রাজনৈতিক ভাবে মিথ্যে খবর প্রচারের জন্য, উত্তরপ্রদেশের ছবি প্রচার করার জন্য জনসমক্ষে সুকান্ত-শুভেন্দুকে ক্ষমা চাওয়ার বার্তাও দিয়েছেন দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya)। চাওয়ার বার্তাও দিয়েছেন দেবাংশু।
আরো পড়ুন : মেডিক্লেম নিয়ে সমস্যা, ১১ টি সংস্থাকে জরুরি তলব, বৈঠকে বসবে স্বাস্থ্য কমিশন
দেবাংশু অবশ্য একা নন। রবিবারই মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে বিএসএফকে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে। তিনি বলেছিলেন, বিএসএফ এর একাংশের মদতেই বাংলায় হামলাকারীরা ঢুকছে, হামলা করে আবার পালিয়ে যাচ্ছে। কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো কোনো অংশ কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কিংবা সেই এজেন্সির পরিচালনায় একটি গোপন ব্লু প্রিন্টের মাধ্যমে বিএসএফের একাংশের মারফতে ঢোকানো হয়েছিল দুষ্কৃতীদের। গণ্ডগোল করিয়ে আবার তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কুণাল (Kunal Ghosh)।