বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেড় দিন ধরে ঠায় বসে! স্বাস্থ্য ভবনের বাইরেই দু’রাত কাটিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এর মাঝেই বুধবার এক মানবিক ছবি দেখল শহর। মরণাপন্ন এক মহিলা পুলিশকর্মীর প্রাণ বাঁচালেন আন্দোলনকারীরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছেন পুলিশ আধিকারিকরাও। আরজি কর কাণ্ডের এই টানাপোড়েনের মাঝেই এবার নজর কাড়ল তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Debangshu Bhattacharya) একটি পোস্ট।
দেবাংশুর (Debangshu Bhattacharya) পোস্টে শোরগোল!
মঙ্গলবারের পর বুধবারও আলোচনায় বসতে চেয়ে নবান্ন থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে পাল্টা ৪টি শর্ত পাঠানো হয়। এরপরেই গতকাল রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু। এবার সেই পোস্ট নিয়েই জলঘোলা শুরু হয়েছে।
If there is a strike in bus service & govt asks for a meeting, govt must have a brigade ground for it! Because every bus will have its own representation!
— Debangshu Bhattacharya Dev (@ItsYourDev) September 11, 2024
- কী লিখেছেন দেবাংশু?
তৃণমূল নেতা লিখেছেন, ‘যদি বাস পরিষেবার ধর্মঘট হয় এবং সরকারের তরফ থেকে আলোচনার কথা বলা হয়, তাহলে এর জন্য অবশ্যই একটি ব্রিগেড মাঠ থাকতে হবে। কারণ প্রত্যেকটি বাসের নিজস্ব প্রতিনিধি থাকবে’। দেবাংশুর (Debangshu Bhattacharya) এই পোস্ট নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বৈঠকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতিনিধি সংখ্যার বিষয়টি নিয়েই তৃণমূল নেতা ঘুরিয়ে খোঁচা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ WBCS থেকে সোজা IAS অফিসার! কপাল খুলল এই ১০ জনের! জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি
এদিকে আন্দোলনের (RG Kar Case) মাঝেও কর্তব্যে অবিচল জুনিয়র চিকিৎসকরা। গতকাল মধ্যরাতে যেমন আচমকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এক মহিলা পুলিশকর্মীর। বিষয়টি চোখে পড়তেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন একজন জুনিয়র ডাক্তার। দ্রুত ইনহেলার জোগাড় করে ওই পুলিশকর্মীর প্রাণ বাঁচান। এরপর অ্যাম্বুলেন্স করে তাঁকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বুধবারও জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক না হওয়ায় সরব হয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই আন্দোলনের নেপথ্যে রাজনীতির খেলা রয়েছে, অভিযোগ চন্দ্রিমার। সেই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ। অন্যান্য জুনিয়র ডাক্তাররাও জানিয়েছেন, তাঁদের আন্দোলনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এই আন্দোলন সম্পূর্ণ আরাজনৈতিক।
তাঁর কথায়, ‘রোদে পুড়ে, জলে ভিজে এত মানুষ রাস্তায় নামছেন। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সদর্থক আলোচনা চাইছি। মিডিয়ার সামনে সদর্থক আলোচনা চাইছি। নবান্নের আলোচনায় আমাদের কোনও আপত্তি নেই’। এই আবহে এবার দেবাংশুর (Debangshu Bhattacharya) নয়া পোস্ট নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। সত্যিই কি তৃণমূল নেতার পোস্টের কোনও অন্তর্নিহিত মানে আছে? ভাবাচ্ছে অনেককে।