বাংলাহান্ট ডেস্ক : এখনও সিঙ্গেল দেবাংশু ভট্টাচার্য! সরস্বতী পুজোর স্মৃতিচারণা করে নিজেই জানালেন সেই কথা। সরস্বতী পুজোর সকালে নিজের ছোটোবেলার স্মৃতির পাতা ওল্টাতে বসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। পরিবার থেকে ব্যক্তিগত জীবন, প্রেম, সবই অকপটে উঠে এল সেখানে।ছোটোবেলা থেকেই সরস্বতী পুজোর দিনটা বিশেষ তাঁর কাছে। তিনি জানান, ছোটোবেলায় ভোর বেলা ঘুম থেকে ওঠার পর সব ভাইবোনদের একসঙ্গে হলুদ মাখিয়ে দিতেন কাকিমারা। তারপর শীতের সকালে লাইন দিয়ে চলত স্নান পর্ব। ছোটোবেলায় পাঞ্জাবি একেবারেই নাপসন্দ ছিল দেবাংশুর। তিনি বলেন, ‘এখন তো পাঞ্জাবি ছাড়া আর কিছু পরিই না। কিন্তু ছোটোবেলায় একেবারেই পরতে চাইতাম না পাঞ্জাবি। কিন্তু এই দিন বাড়িতে সব্বার পাঞ্জাবি পরা বাধ্যতামূলক ছিল। পাঞ্জাবি পরেই অঞ্জলি দিতে হত বাড়ির পুজোতে’।
পুজোর পর কুল খাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। এই যুব তৃণমূল নেতার দাবি, আজকাল কুল খাওয়া নিয়ে বিধিনিষেধ ভুলেই গেছে বাঙালি। কিন্তু তাঁর ছোটবেলা অবধিও সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া একপ্রকার দণ্ডনীয় অপরাধের সমান ছিল। একমাত্র পুজোর পরই খাওয়া যেত কুল। মজা করে তিনি বলেন, ‘সরস্বতী পুজোর পর ঠিক কতদিন অবধি কুল খাওয়া যায় আর ঠিক কবে থেকে আর কুল খেতে নেই সেই উত্তর আজও পাইনি আমি’।
স্কুলের পুজোয় খিচুড়ি আলুরদম খাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। দেবাংশু বলেন, ‘একটু বড় হওয়ার পর যখন বাইরে একটু আধটু বেরোনোর অনুমতি পেতাম, তখন পাড়ায় আশেপাশেই ঘুরতাম। কলেজেও এভাবেও কেটেছে। সরস্বতী পুজোতে কলেজের মধ্যেই থাকতাম।’ নিজেকে লাজুক তকমা দিয়ে স্কুল কলেজের প্রেম জীবনের কথাও উঠে এসেছে তাঁর কলমে, ‘আমি একটু লাজুক প্রকৃতিরই। তাই মেয়েদের স্কুলে নিমন্ত্রণ করতে যাওয়া বা কারও হাত ধরে ঘোরার অভিজ্ঞতা নেই সেরকম। ডেপোরাই মূলত ওই নিমন্ত্রণ করতে যেত।
তবে গার্লস স্কুলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কারও চোখে চোখ পড়ে যায়নি এমন নয়। একটা দিনেরই ওই আনন্দ। ওরাও শাড়ি পরত, আমরা পাঞ্জাবি। ওরাও স্কুলে আসত, আমরাও ওদের স্কুলে যেতাম’।প্রেম জীবন নিয়ে অকপট দেবাংশুর দাবি আজও ‘হাত ধরে ঘোরার মতন কেউ’ নেই তাঁর। তাঁর মতে, সরস্বতী পুজোটাকে বাঙালির প্রেম দিবস বলা বোধহয় খুব একটা ঠিক নয়। অনেকেরই হয়ত হার ধরে ঘোরার ওই একটিই দিন থাকে, কিন্তু এমনিতে প্রেমের কোনো দিন হয় না। সারাবছর রোজই প্রেমের দিন। যদিও কখনও কোনো বান্ধবীর হাত ধরে ঘোরা তাঁর আর হয়ে ওঠেন বলেই দাবি তাঁর।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে যুবসমাজে দেবাংশু ভট্টাচার্য যে অন্যতম বিখ্যাত এক নাম তা বলাই বাহুল্য। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর খেলা হবে কিংবা মমতাদি আরেক বার স্লোগান রীতিমতো ঝড় তুলেছিল রাজ্যে। খেলা হবেকে অস্ত্র করেই নির্বাচনে লড়েন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য এই তরুণ তৃণমূল নেতার অনুগামীর সংখ্যা নেহাত কম নয় স্যোশাল মিডিয়ায়। তার বড় একটা সংখ্যাই মহিলা। তবে সম্পর্কের ব্যাপারে এই স্বীকারোক্তির পর দেবাংশুর মেসেজবক্সে যে অগণিত টোকা পড়বে, ‘হাত ধরার আশায়’ তা হলফ করে বলতে পারি আমরা। শেষমেষ কোন দেবীর হাত ধরে ঘুরতে দেখা যাবে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে, তার উত্তর অবশ্য সময়ই দেবে।