ভোটে হেরেই তুলকালাম! এবার দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বসলেন ‘ছোকরা’ দেবাংশু, বললেন…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election) রাজ্যে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। আর তারপর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছে বঙ্গ বিজেপি নেতারা। কারও কথায় ‘চক্রান্ত হয়েছে’, তো কেউ দোষ ঠেলছেন রাজ্য নেতৃত্বের ঘাড়ে। আর এবার বিজেপির পাশাপাশি হারার পর ফোঁস করে উঠলেন তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। দলের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী।

শুভেন্দু গড় তমলুকে শাসকদলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে জনতার দরবারে হাজির হয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বঙ্গে বিজেপি ভালো ফল না করলেও তমলুকে (Tamluk) গেরুয়া শিবিরকে জয় এনে দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি।

তৃণমূলের ‘ছোকরা’ দেবাংশুকে হারিয়ে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে ৭৭ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই আবহে হেরে যাওয়ার পর এবার মুখ খুললেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তৃণমূল নেতা, বললেন, “আমার অভিজ্ঞতা ভাল হয়েছে। অনেকে আশীর্বাদ করেছেন। কিন্তু আমি ভোটে লড়তে গিয়ে একটা জিনিস দেখলাম, ওই জেলায় আমার দলের অনেকেই দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছেন।”

দেবাংশুর কথায়, “ভোটে প্রভাব তো পড়বেই। এটা তো নিশ্চিত ছিল। যারা দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছে তাদের আমি চিহ্নিত করতে পেরেছি। ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি।” ক্ষুব্ধ দেবাংশু বলেন, “এভাবে চলতে পারে না। দুই নৌকায় পা দিয়ে চলব আবার দলের বিভিন্ন পদ সামলাব সেটা হয় না। ভোটে লড়তে গিয়ে আমাকে এরম বহু অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ”

Debangshu Bhattacharya

আরও পড়ুন: ‘ওনার স্বামীর বিরুদ্ধে..,’ বিচারপতি সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে মামলা, কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট?

সমস্ত বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই দেবাংশু দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নালিশ জানিয়েছেন বলেও জানান। তবে নিজের পরাজয়ের ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে দলের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতা বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন সেই নিয়েই তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর