‘শুভেন্দু অধিকারীর মত সাম্প্রদায়িক লোককে বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়াই উচিত নয়’, কটাক্ষ দেবাংশুর

   

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পয়গম্বর ইস্যুকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বাংলা সহ গোটা দেশ জেরবার হয়ে রয়েছে। একাধিক প্রান্তে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের বিক্ষোভের ফলে নাজেহাল মানুষ। বিগত তিনদিন ধরে হাওড়া সহ বাংলার অন্যান্য একাধিক প্রান্তে ইটবৃষ্টি থেকে শুরু করে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে চলেছে। এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কয়েকটি প্রান্তে 144 ধারা পর্যন্ত জারি করা হয়েছে আর এর মাঝেই এসকল এলাকায় আসতে দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারের মতো বিজেপি নেতাদের।

যদিও গতকাল সুকান্ত মজুমদারের পথ আটকায় পুলিশ এবং পরবর্তীকালে তাঁকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়। সেই ধারা বজায় রেখে এদিন প্রশাসনের তরফ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় যেতে বারণ করা হয়। এ ঘটনায় যখন তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষের সুরে একের পর এক আক্রমণ করে চলেছেন বিরোধী দলনেতা, সেই মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারী সহ গোটা বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীকে ‘সাম্প্রদায়িক লোক’ বলে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তৃণমূল নেতা।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, “যখন অসমের বাঙালিদের উপর অত্যাচার করা হয় কিংবা দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে বিতর্কিত ঘটনা ঘটে, সেই মুহূর্তে তৃণমূলকে সেখানে যেতে দেওয়া হয় না। এমনকি, উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পর্যন্ত আমাদের আটকানো হয়। কিন্তু আপনারা হাঁসখালি কিংবা বাংলার অন্যান্য প্রান্তের ঘটনা দেখেছেন, যেখানে বিজেপি নেতাদের প্রকাশ্যে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। তবে বর্তমানে যেভাবে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় 144 ধারা জারি হয়েছে, সেখানে কারোর না যাওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে বিজেপি নেতারা সেখানে গিয়ে দাঙ্গা বাঁধাতে চাইছে, সেই জন্য তাদেরকে আটকানো হয়েছে।

এরপর দেবাংশু বিরোধী দলনেতাকে চরম কটাক্ষের সুরে বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর মত সাম্প্রদায়িক লোককে বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া উচিত নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমাদের সকলের উচিত শান্তি বজায় রাখা। সংবিধান অনুযায়ী আমাদের রাজনীতি করতে হয়, আমাদের সেটা মেনে চলা উচিৎ।”

Untitled design 14 3

এরপরেই দেবাংশুর বক্তব্যে উঠে আসে দিলীপ ঘোষ ও নরেন্দ্র মোদি প্রসঙ্গ। বাংলার প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বর্তমানে বাংলার বড় জ্যোতিষী হলেন দিলীপ ঘোষ। উনি বিজেপির দুশো ভোটের স্বপ্ন দেখেছিলেন, এমনকি দুধে সোনা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন। তবে আমি একটাই কথা বলতে চাই যে, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদি যদি সবচেয়ে বেশি ভয় কাউকে পেয়ে থাকেন, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

Avatar
Sayan Das

সম্পর্কিত খবর