‘বন্ধুবৃত্তেই কেউ আপনার বইয়ের নাম জানেনা, মমতার বই বেস্টসেলার!” সাহিত্যিককে কটাক্ষ দেবাংশুর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকালই বাংলা আকাদেমির দেওয়া সম্মান ফিরিয়ে এবং পদত্যাগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরষ্কার প্রাপ্তীর প্রতিবাদ করেছেন সাহিত্যিক রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখাকে সাহিত্যপদবাচ্য বলে মানতেই নারাজ তাঁরা। তাঁদের দাবি, স্বঘোষিত বেস্টসেলার হওয়ার পরও তাঁদের বন্ধুবৃত্তের ৯০% লোকই মমতার একটিও বইয়ের নাম অবধি জানেন না। এবার এরই প্রেক্ষিতে সাহিত্যিক রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।

এদিন ফেসবুকে দেবাংশু লেখেন, ‘ রত্নাদেবী,খুব ভুল না করলে আপনি গত বিধানসভা নির্বাচনে নো ভোট টু বিজেপির হয়ে সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন।মন্তব্যও করতেন। বিজেপি এলে আপনাদের অবস্থা কী হবে এই নিয়ে যারপরনাই আশংকিত ছিলেন এবং থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ সিপিএম আমলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন আপনি আর পারিবারিকভাবে সিপিএমটাও করতেন,তাই জানেন কোন স্বৈরাচারী আর শোষক শক্তি যখন ক্ষমতা পায়, তখন বিরুদ্ধ কন্ঠের অবস্থা ঠিক কী হয়। বর্ধমানে বাড়ি আপনার রত্নাদেবী। সাঁইবাড়ি গণহত্যাকেও নিশ্চিত খুব কাছ থেকেই দেখেছেন, তাই না? আপনার স্বামীও সিপিএম করতেন,অথচ দেখুন এই সরকার, এই মুখ্যমন্ত্রীর আমলেই বাংলা সাহিত্য একাডেমি আপনাকে একটা আস্ত পুরষ্কার দিলো। সিপিএম আমলে সিপিএম না করে পুরষ্কার, ভাবতে পারতেন রত্নাদেবী?’

এখানেই শেষ নয়, দেবাংশু আরও লিখেছেন, ‘যাইহোক যাকে এই সামান্য পুরষ্কার দেওয়া আপনার সত্যের অপলাপ মনে হয়েছে তাঁর বই বেস্টসেলার আর আপনার বন্ধুবৃত্তের নব্বই ভাগ লোকই আপনার একটা বইয়ের নামও মনে করতে পারবেন না। যাঁকে নিয়ে আপনার আজ এতো সমস্যা, তিনি না থাকলে ২০২১ এ বিজেপিই আসতো, আপনি পুরষ্কার ফিরিয়ে দিয়ে তিন দিনের ফুটেজ খাওয়ার সময় পেতেন না, ওরা কেড়ে নিতো। আপনার পুরষ্কার,আপনার সম্মান,আপনার জমি,আপনার বাড়ি,আপনার ঠিকানা-এন আর সির ধাক্কায় আসামের বাঙালিদের মতো সব শূন্য হয়ে হাতে ডিটেনশন ক্যাম্পের ছাউনির পেন্সিল পড়ে থাকতো রত্নাদেবী। আর সঙ্গে জুটতো বাংলাদেশী হবার তকমা।সেসব হয়নি, কার জন্য জানেন? যার প্রতি সযত্নলালিত ঘেন্না আজ প্রথম সুযোগেই আপনি উগড়ে দিলেন কি অবলীলায়। আপনারাই পারেন রত্নাদেবী,চোখের নিমেষে রঙ বদলাতে।’

উল্লেখ্য, গতকাল রীতিমতো বিবৃতি জারি করে বাংলা সাহিত্য আকাদেমির উপদেষ্টা পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে৷ সাহিত্যিক অনাদিরঞ্জন বিশ্বাসও। তাঁর এহেন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়নি দেবাংশুকে।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর