বহরমপুরে কলেজ ছাত্রীর খুনি বিজেপির লোক! ফেসবুকে পোস্ট করে শুভেন্দুকে আক্রমণ দেবাংশুর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই বহরমপুরে কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর হত্যাকাণ্ডে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য। এবার এই ঘটনাতেই রাজনীতির “গন্ধ” পেলেন যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী একজন বিজেপি কর্মী বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে, এখানেই থেমে থাকেননি দেবাংশু। বরং, এই ঘটনায় ফেসবুকেও সরাসরি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।

এর পাশাপাশি তাঁর দাবির ভিত্তিতে সুশান্তর প্রোফাইলের বেশ কয়েকটি স্ক্রিনশটও প্রকাশ্যে এনেছেন দেবাংশু। যেখানে দেখা গিয়েছে বিজেপি-র সমর্থনে ইতিমধ্যেই একাধিক পোস্ট শেয়ার করেছেন সুশান্ত। তবে, পোস্টগুলির সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট।

   

ফেসবুকে কি লিখেছেন দেবাংশু?
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তিনি লিখেছেন, “শুভেন্দুবাবু, বহরমপুরের কুখ্যাত এই সুশান্ত আপনাদের দলের কর্মী। আগে নিজের দলের কর্মীদের সুশিক্ষা দিন। বিজেপির কালচারে বেড়ে ওঠা একটাও ভদ্রলোককে আজ অবধি দেখলাম না! সবকটা ধর্ষক, খুনী, চোর, জল্লাদ নয়ত লোডশেডিং করে জেতা লোকজন!”

আর এই পোস্টেই একের পর এক স্ক্রিনশট তুলে ধরেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বহরমপুরে কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরী (২১)-কে খুনের ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজই আদালতে তোলা হয় ওই সুশান্তকে। অভিযোগ উঠেছে যে, মেস থেকে ডেকে এনে সুতপাকে খুন করেন সুশান্ত।

যদিও, পুলিশি জেরায় সুশান্ত জানিয়েছেন যে, ওই তরুণীর প্রেমিক ছিলেন তিনি। কিন্তু, এরপর সুতপাই একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে জানান সুশান্ত। এদিকে, ইতিমধ্যেই সুশান্তের একটি ফেসবুক পোস্টে নজর পড়েছে সবার। যেখানে লেখা আছে, “আমি ভারতীয়। এই বেওয়াফা তোর উপর একদিন অনেক ভারী পড়বে। এমনকী, তোর জান পর্যন্ত যেতে পারে ম্যাডামজি।”

এদিকে, এই ঘটনা নিয়েই আপাতত সরগরম হয়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। যদিও, এই প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার জানিয়েছেন, “বিজেপি কোনো দুষ্কৃতীকে সমর্থন করে না। বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক আজ ওই মৃত ছাত্রীর পরিবারের পাশেই ছিলেন।” এই আবহে শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে দেবাংশুর এই ফেসবুক নিশ্চিতভাবে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে বিজেপির।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর