বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকাল মিলনমেলা প্রাঙ্গনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ড প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে সমালোচনা এবং বিতর্কের ঝড় রাজ্য জুড়ে। কিন্তু ঠিক সেই সময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্টো পথে হেঁটে সমবেদনা ঝরে পড়ল তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের গলায়। তাঁর স্যোশাল মিডিয়ার পাতা ভরে উঠল বেদনা এবং আর্তিতে।
সোমবার হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শুনলাম বাচ্চা একটি মেয়ে মারা গেছে। সেটা আপনি রেপ বলবেন, নাকি প্রেগনেন্ট বলবেন নাকি শরীরটা খারাপ বলবেন?… আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটা খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। মেয়েটার লাভ অ্যাফেয়ার ছিল।’ আরও বলেন, ‘মেয়েটি মারা গেছে ৫ তারিখ। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখ। পুলিশ কীকরে তদন্ত করবে? কী করে বোঝা যাবে মেয়েটি রেপ হয়েছে নাকি প্রেগনেন্ট ছিল নাকি ধরে মারা হয়েছে নাকি শরীরটা খারাপ ছিল? কাউকে কিছু না বলেই দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হল, পুলিশকে জানানো হল না। এবার পুলিশ তদন্ত করবে কী করে?’
এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে আরও বলতে শোনা যায়,’মেয়েটির সঙ্গে ছেলেটির লাভ অ্যাফেয়ার্স এর কথা পরিবারের লোক জানত, পাড়ার লোক জানত। এটা ইউপি নয় যে লাভ জিহাদ নিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করব। কেউ কারও সঙ্গে প্রেম করলে তা আমার পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়।’
কিন্তু মমতার এই আক্রমণাত্মক মন্তব্যের সম্পুর্ণ উলটো পথে হেঁটে, দেবাংশুর কলমে ঝড়ল আক্ষপের সুর। এদিন দেবাংশু লেখেন, ‘অনেকটা বাধা আর কষ্টের একফালি,/দেহময় লজ্জার সবটাই হাঁসখালি।/ বেঁচে ওঠ বোন আমার, বাকি আছে কত স্বাদ/জেগে উঠে জোরে বল পচে মর জহ্লাদ!
দেবাংশুর এই কবিতাকে ঘিরেও তৈরি হয়েছে তীব্র জল্পনা। তবে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তৈরি হওয়া বিতর্কের আগুনে জল ঢালতেই এই চেষ্টা, নাকি এই ইস্যুতে সত্যিই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করতে পারছেন না যুব নেতা? তাঁর এহেন পোস্ট কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।