বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য গেছিলেন। সেখানে যাওয়া মাত্র, ওনাকে কালো পতাকা দেখায় বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যেরা। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্দেশ্য করে করা হয় অকথ্য গালি গালাজ! সেখানেও থেমে না থেকে, বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যেরা মারমুখি হয়ে বাবুল সুপ্রিয়র উপর আক্রমণ করে। ছিঁড়ে দেওয়া হয় ওনার জামা, চশমা টেনে খুলে ফেলা হয়। এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র চুলের মুটি ধরে মারধর করে বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা।
U hv no words to utter for 6 hours or NO ADMINISTRATIVE ACTION from Mamta Govt.. Ur dirty politics hv overpowered ur logic. I pity U. FYI, if VC wanted, situation wud hv been under control at 3pm b4 ur #SFI hooligans started it. AVBP had JU registrar’s permission to do the event https://t.co/Sn3aPKRqFc pic.twitter.com/rdXQTMkI7q
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) September 20, 2019
বাবুল সুপ্রিয়’র চুলের মুটি ধরে টানা ছাত্র দেবাঞ্জন রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। বামেদের কাছে সে হিরোও হয়ে যায়। অনেকে তাঁকে আবার বাংলার কানহাইয়া কুমার বলেও ডাকা শুরু করে দেয়। এরপর খবর পাওয়া যায় যে, দেবাঞ্জন যাদবপুরের ছাত্রই না! সে ওখানে গণ্ডগোল করার জন্যই গেছিল। দেবাঞ্জনের ছবি খবর আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর চিন্তায় পড়ে তাঁর পরিবার। ঘটনার একদিন পর দেবাঞ্জনের ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেখানে দেবাঞ্জনের মাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র সামনে কাকুতি মিনতি করে তাঁর ছেলেকে ক্ষমা চাইতে দেখা যায়।
ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় দেবাঞ্জনের মা’কে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেবেন না। আর তাঁর ছাত্র জীবনে যাতে কোন প্রভাব না পড়ে, সেটিও খেয়াল রাখবেন। এরপর দেবাঞ্জন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে লেখেন যে, তাঁর মা’কে ভয় দেখিয়ে ওই ভিডিও বানানো হয়েছে। আর সে বাবুল সুপ্রিয়র কাছ থেকে ক্ষমাও চাইবেনা। সে যা করেছে, ঠিক করেছে। যদিও, এরপর বাবুল সুপ্রিয় থেকে দেবাঞ্জনকে নিয়ে আর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ঘটনার ১২দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর, আজ আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে দেবাঞ্জন। বাম ছাত্র সংগঠনের এক ছাত্র ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছে, ‘কমরেড De Banjan আর কমরেড Praghya Roy Chowdhury কে বর্ধমানে বিজেপির কর্মীরা মারধোর করেছে। এর উত্তর সমস্ত গণতান্ত্রিক মানুষ কড়া ভাবে দেবে। জোট বাধুন, তৈরি হোন।” যদিও এই ঘটনা কতটা সত্য সেটা এখনো জানা যায়নি, তবে বামেরা আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবাঞ্জনের নাম নিয়ে যাদবপুর কাণ্ডকে উজ্জীবিত করতে চাইছে। আরেকদিকে বামেরা এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ’র উপরেও হামলার ছক কষছে।