বাংলাহান্ট ডেস্ক : বালিগঞ্জ এবং আসানসোলের উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। রাজ্যস্তরের নেতাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরে। এহেন পরিস্থিতিতে এবার শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধে একহাত নিলেন যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এদিন ফেসবুকে পোস্ট করে দেবাংশুর দাবি, ‘অভাগা যেখানে যায়, সাগর শুকায়ে যায়।’
বাংলায় যে শক্তি কমছে বিজেপির, তা অনেকাংশে স্পষ্ট হয়েছিল পুরসভা ভোটের সময়ই। কিন্তু উপনির্বাচনের ফলাফলে আরও শক্ত হল এই জল্পনার ভিতই। বালিগঞ্জে বিজেপিকে পিছনে ফেলে উঠে এলো কার্যতই বাংলা থেকে নিশ্চিহ্ন বামেরা। গেরুয়া গড় আসানসোলেও তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির ভোটের পার্থক্য ২ লক্ষেরও বেশি। এই আসানসোলেই নির্বাচনের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু। এবার সেই হারের প্রসঙ্গ টেনেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে বিঁধলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।
এদিন ফেসবুকে দেবাংশু লেখেন, ‘ঠাকুমা বলত, অভাগা যেখানে যায়, সাগর শুকায়ে যায়!হঠাৎ মনে পড়ল! কারণ.. আসানসোলে বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দুঃখের বিষয় আসানসোলে মিটার বক্সটা একটু উঁচুতে ছিল.. হাত যায়নি বেচারার!’ শুধু তাইই নয়, পোস্টটিতে অপয়া শব্দটিকে হ্যাসট্যাগ হিসেবেও ব্যবহার করেছেন তিনি। এই বক্তব্যের মাধ্যমে কার্যতই আবারও নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ টেনেছেন এই যুব নেতা। তৃণমূলের অভিযোগ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের গণনার সময় লোড শেডিং করে কারচুপির মাধ্যমে ১২০০ ভোটে জেতেন শুভেন্দু। তাই সেই সুর টেনেই এদিন মিটার বক্সে হাত না পাওয়ার কথা বলেছেন দেবাংশু।
এখানেই শেষ নয়, এদিন সংবাদমাধ্যমকে দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, ‘এবারে ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন হয়েছে। অগ্নিমিত্রা পাল তো নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে এবারে কেন্দ্রীয় বাহিনী খুব ভালো কাজ করেছে। কিন্তু তবু বিজেপি জিতল না। আমার ব্যক্তিগত মতামত, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির জন্য অপয়া। কারণ, যেদিন থেকে উনি ওই দলে যোগ দিয়েছেন সেদিন থেকেই বিজেপি শিবিরে ধস নেমেছে। দিনহাটা, শান্তিপুরের মতো আসন আগেই খুইয়েছেন। এবার আসানসোলও হাতছাড়া হল। পরবর্তীতে উনি যদি দলবদল করেন তাহলে কী হবে জানি না। বিজেপির জন্য উনি ব্যাড ইনভেস্টমেন্ট।’ পুরো বিষয়টিতে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি শুভেন্দু অধিকারী কিংবা বিজেপির তরফে।