টিউশন ছাড়াই বাজিমাত! সর্বভারতীয় ম্যানেজম্যান্ট পরীক্ষায় প্রথম সিউড়ির দেবার্ণব

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখত ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশুনা করবে। আজ সিউড়ির (suri) সেই দেবার্ণব চট্টোপাধ্যায় (debarnab chatterjee), ডাক পেয়েছেন আইআইএম ইন্দোর থেকে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষায় সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম স্থান অধিকার করে, নিজের স্বপ্নপূরণের সিঁড়িতে উঠে গিয়েছেন দেবার্ণব। এবার শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা।

সিউড়ির নতুনপল্লি নিবাসী দেবার্ণব চট্টোপাধ্যায়, ছোট থেকেই ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশুনার স্বপ্ন দেখতেন। সিউড়ির লেভেলফিল্ড স্কুলের একজন মেধাবি ছাত্র ছিলেন দেবার্ণব। বরাবরই প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বেরিয়ে কিছু করার ইচ্ছা ছিল দেবার্ণবের। আর সেই কারণেই, এই লাইনকে বেছে নেয় সে।

vcvcvh

স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়েই এই পরীক্ষায় বসেছিল দেবার্ণব। এই পরীক্ষায় দেবার্ণব প্রথম স্থান অধিকার করলেও, তাঁরই বিদ্যালয়ের আরও ৬ জন ছাত্র এই পরীক্ষায় র‍্যাঙ্ক করেছে। নিজের এবং বন্ধুদের এই সাফল্যে ভীষণই আনন্দিত দেবার্ণব।

দেবার্ণব জানায়, ‘আমার এই কৃতিত্বের জন্য আমার বাবা মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা কখনই আমাকে ইঞ্জিনিয়ারিং বা ডাক্তারির দিকে ঠেলে না দিয়ে, আমার স্বপ্নের পাশে ছিলেন। একইসঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানাব স্কুলের স্যারদেরও। তাঁরা আমাকে গাইডেন্স না করলে, আজকে আমি সাফল্য অর্জন করতে পারতাম না’।

অন্যদিকে ছেলের এই সাফল্যে অভিভূত দেবার্ণবের বাবা দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি জানান, ‘স্কুলের শিক্ষকরাই ওকে প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বেরিয়ে, ম্যানেজমেন্ট পড়ার জন্য উৎসাহী করে তোলে। ওর কোন প্রাইভেট টিউটর ছিল না, নিজের চেষ্টায় এবং স্কুল শিক্ষকদের সাহায্যেই ওর এই সাফল্য। ওর এই সাফল্যে আমরা খুবই খুশি। আমার ছেলে ছাড়াও আরও ৬ জন এই সুযোগ পেয়েছে। তাঁদের জন্যও আমি আনন্দিত’।

ad

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর