বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর ধর্ষণ খুন কাণ্ডের পর প্রতিবাদে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের একটি বৃহৎ অংশ। সেই আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ ছিলেন দেবাশিস হালদার (Debashis Halder), অনিকেত মাহাতো (Aniket Mahata), আসফাকুল্লা নাইয়ারা (Asfakulla Naiya)। এই প্রতিবাদী ডাক্তারদের বর্তমানে একডাকে চেনেন বহু মানুষ। সম্প্রতি তাঁদের পোস্টিং নিয়েই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই আবহে সোজা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন দেবাশিসরা।
মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন দেবাশিস। অন্যদিকে পিজিটি থেকে সিনিয়র রেসিডেন্ট হওয়ার কথা অনিকেত ও আসফাকুল্লার। তবে তিনজনেরই পোস্টিং নিয়েই বড় অভিযোগ উঠেছে। মেরিট লিস্ট বেরনোর পর দেখা গিয়েছে, দেবাশিসদের পোস্টিংয়ের জায়গা বদলে গিয়েছে। প্রতিবাদের ‘শাস্তি’ স্বরূপই কি এমনটা হল?
জানা যাচ্ছে, নিয়ম অনুযায়ী সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক দেবাশিসের একটি গ্রামীণ অঞ্চলে পোস্টিং হওয়ার কথা। সেই হিসেবে কাউন্সেলিংয়ে হাওড়ায় পোস্টিং দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু মেরিট লিস্ট বেরোতেই দেখা যায়, দেবাশিসকে মালদার গাজলের হাসপাতালে পাঠানো হবে। এদিকে ওই হাসপাতালে কোনও শূন্যপদই ছিল না বলে অভিযোগ! এছাড়া ওই তালিকায় নাম থাকা ৭৭৮ জনের মধ্যে কেবলমাত্র এই প্রতিবাদী চিকিৎসকের সঙ্গেই এমনটা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অশ্রাব্য গালাগাল! সত্যিই বোলপুরের IC-কে ‘হুমকি’ দিয়েছেন? অবশেষে মুখ খুললেন কেষ্ট
অনিকেত-আসফাকুল্লার সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে। মেরিট লিস্টে নাম থাকা ৮৭১ জনের মধ্যে শুধু তাঁদের পোস্টিং বদলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এবার এই নিয়েই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন দেবাশিস ও আসফাকুল্লা।
সরকারি সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অনিকেতের ঠিক করেছেন সিনিয়র রেসিডেন্ট (Senior Resident) পোস্টিংয়ে যোগ দেবেন না। আইনি লড়াই লড়বেন তিনি। অন্যদিকে দেবাশিস ও আসফাকুল্লা কাজে যোগ দিলেও আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই দুই চিকিৎসককে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৫ জুন তাঁদের মামলার শুনানি বলে খবর।
উল্লেখ্য, আরজি কর আন্দোলনের এই প্রতিবাদী তিন চিকিৎসকের পোস্টিং বিতর্ক নিয়ে বহুল চর্চা হয়েছে। এবার জল গড়াল হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। উচ্চ আদালতে কী হয় সেটাই এবার দেখার।