বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহারাষ্ট্রে রাজনীতিতে একের পর এক নাটক জারি রয়েছে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী পদে উদ্ধব ঠাকরের ইস্তফার পরেই সূত্র মারফত খবর মেলে যে, বাণিজ্যনগরীতে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়োগ করা হতে পারে বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবিশকে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন একনাথ শিন্ডে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত এদিন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করার কথা ঘোষণা করা হয়। এমনকি, সেই মুহূর্তে মন্ত্রিসভায় থাকতেও অসম্মতি প্রকাশ করেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। অবশ্য শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার অনুরোধ রাখতেই অবশেষে মহারাষ্ট্রের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন ফড়ণবিশ। এদিন বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে বড় ঘোষণা করেন বিজেপি নেতা। সকলকে চমকে দিয়ে তিনি বলেন যে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন একনাথ শিন্ডে এবং তিনি মন্ত্রিসভায় অংশ পর্যন্ত নেবেন না। এর পরে অবশ্য জেপি নাড্ডা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের মহারাষ্ট্র সরকারে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। আমি ওকে এই প্রসঙ্গে আবেদন করেছি। আমাদের মতে, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ওকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করা উচিত।” আর এরপর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অবশেষে ফড়ণবিশকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে দেখা যায়।
পরবর্তীতে এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রের মানুষের কথা ভেবে এবং জেপি নাড্ডার অনুরোধে অবশেষে মহারাষ্ট্র সরকারে অংশগ্রহণ করলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। মহারাষ্ট্রের প্রতি তাঁর যে বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে, সেই কারণে অবশেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। আমি ওকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।” তবে আজ সারাদিন যেভাবে একের পর এক নাটক চলল তা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামে, সেটাই দেখার।