বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা সিরিয়ালে (Bengali Serial) একঘেয়েমি কূটকাচালি, শাশুড়ি বৌমার মন কষাকষি দেখে দেখে ক্লান্ত দর্শকরা। ডেইলি সোপের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দর্শকদের একটা বড় অংশের। এমনকি অভিনেত্রী দেবযানী চট্টোপাধ্যায়ের (Debjani Chatterjee) মতও একই। একঘেয়েমি চরিত্র, গল্পে অভিনয় করতে করতে হাঁফিয়ে উঠেছেন তিনি।
দীর্ঘ ১৮-১৯ বছর ধরে টেলিভিশন দুনিয়ায় রয়েছেন দেবযানী। অভিজ্ঞ অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি একজন। বহু সিরিয়ালে নিজের অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন তিনি। ছবিতেও কাজ করেছেন। তবে তুলনামূলক অনেক কম। আর সেটাই আফশোস হয় দেবযানীর। সদ্য শেষ হয়েছে যমুনা ঢাকি সিরিয়াল। যমুনার শাশুড়ির ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন তিনি।
আপাতত কিছুদিন টিভি, সিরিয়াল থেকে দূরে থাকতে চাইছেন দেবযানী। টিভি নাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি ক্ষোভ, হতাশা উগরে দিয়েছেন। ১৮ বছর ধরে তিনি একই ধরনের কাজ করে চলেছেন। একই ধরনের চরিত্রে তাঁকে ভাবা হয়েছে বরাবর। তাঁর বয়সী মহিলাদের এখন শুধু শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করতে বলা হয়। সেটা পজিটিভ হোক বা নেগেটিভ।
দেবযানী বলেন, সিরিয়ালের গল্পে এখন আর কোনো বৈচিত্র নয়। তাঁরা যখন টিভিতে কাজ শুরু করেছিলেন তখন বড়পর্দার থেকে ছোটপর্দার আকর্ষণ ছিল বেশি। গল্পেও ছিল বৈচিত্র। তাই কাজ করতে ভাল লাগত। ছোট চরিত্র দিয়ে একটু একটু করে মুখ্য চরিত্রের দিকে এগিয়েছেন। অথচ এখন সবই উলটো।
দেবযানীর কথায়, এখন যে কেউ টিভির অভিনেতা অভিনেত্রী হতে পারে। যারা কিছুই জানে না, অভিনয় জানে না, কথা বলতে পারে না, উচ্চারণ পর্যন্ত ঠিক নেই তারাও এখন মুখ্য চরিত্র পেয়ে যাচ্ছে। অথত যারা সত্যি সত্যি কাজ জানেন, অনেকদিন ধরে কাজ করছেন তারা কাজ পাচ্ছেন না।
অভিনেত্রী স্বীকার করেছেন, তাঁকে কোনোদিন সেই অর্থে স্ট্রাগল করতে হয়নি। কিন্তু এখন পেছন ফিরে তাকালে মনে প্রশ্ন আসে, শিল্পী হিসাবে তাঁর অবদান কী? তাই আপাতত কিছুদিন টিভি থেকে তিনি বিরতি নিচ্ছেন। বড়পর্দা বা OTT র দিকে যাওয়ার ইচ্ছা আছে তাঁর, যেখানে তাঁর বয়সী মহিলাদের জন্যও অন্য ধরণের চরিত্রের সুযোগ রয়েছে।