যেকোনো পশুকেই কেটে খেতে গায়ে লাগে, গোমাংস বিতর্কে বক্তব‍্য ‘নিরামিশাষী’ দেবলীনার

বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রকাশ‍্যে দূর্গাপুজোর নবমীর দিন গোমাংস (beef) রান্না করে দেবেন বলেছিলেন, এর জন‍্য সোশ‍্যাল মিডিয়ায় চরম হেনস্থার মুখে পড়েন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত (debolina dutta)। খুন ধর্ষণের হুমকি থেকে অভিনেত্রীর মাকেও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। উপরন্তু বিজেপি নেতা তরুণজ‍্যোতি তিওয়ারিও FIR দায়ের করেন দেবলীনার বিরুদ্ধে।

এবার সোমবারের প্রতিবাদ সভায় এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। তিনি স্পষ্ট জানান, তিনি নিজে নিরামিশাষী। তবে এর কোনো ধর্মীয় কারণ নেই। তাঁর একটাই ধর্ম, জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। শুধু মাত্র গরু নয়, যেকোনো পশুকেই কেটে খেতে কষ্ট হয় তাঁর। এমনকি তিনি ও তাঁর স্বামী তথাগত পশুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে অসহায় গরুদের খোঁজও আসে তাঁদের কাছে।

এদিন তরুণজ‍্যোতি তিওয়ারির দাবিকেও নস‍্যাৎ করে দেন দেবলীনা। নিজের ফোনের স্ক্রিনশট দেখিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতা তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। তবে এদিন সভাতেও প্রশ্নের মুখে পড়েন দেবলীনা। প্রশ্ন ওঠে, দূর্গাপুজোয় গোমাংস খাওয়ার মতো ইদে কোনো মুসলিম বন্ধুকে তিনি শূকরের মাংস খাওয়াতে পারবেন কিনা। দমে যাননি দেবলীনা। পালটা উত্তরে তিনি বলেন, ট্রোল করার আগে জেনে শুনে তারপরেই করা উচিত। শূকর হল বরাহ যা বিষ্ণুর এক অবতার। হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর অবতার খেতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গায়ে লাগবে না তো? পালটা প্রশ্ন দেবলীনার।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গোমাংস বিতর্কে বাগুইআটি থানায় দেবলীনা দত্তর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেন বিজেপি নেতা। নিজের সোশ‍্যাল মিডিয়া পেজে সেই FIR এর প্রমাণ সহ ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘TARUNJYOTI কথা রাখে। অনিন্দ্য দা এবং দেবলীনা দিদি কে একটাই অনুরোধ করবো পরেরবার হিন্দু ধর্ম নিয়ে কথা বলার আগে একবার ভাববেন। বলেছিলাম আইনি ব্যবস্থা হবে এবং এটা তার প্রথম পদক্ষেপ। দেখা যাক পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিশ পদক্ষেপ নেয় কিনা। আইনের ছাত্র হিসেবে আইনি পথে প্রতিবাদ করতে ভালোবাসি। সেটা চালিয়ে যাব। সবাইকে অনুরোধ করবো শালীনতার মাত্রা রেখে আইনি পথে পদক্ষেপ নেওয়ার । পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ পদক্ষেপ না নিলে বুঝতে হবে তারাও দুর্গা পুজোর সময় beef খাওয়া promote করে। সকল হিন্দুত্ববাদী বন্ধুকে অনুরোধ করবো তাদের লোকাল থানায় অভিযোগ জানাতে। বুদ্ধিজীবী হওয়া মানে হিন্দু ধর্মকে আক্রমন করার লাইসেন্স পাওয়া না। এটা মনে হয় বোঝানোর সময় এসেছে।’

আগেই বিজেপি নেতা বলেছিলেন, নিজের বাড়িতে কি খাবেন না খাবেন তার স্বাধীনতা দেবলীনার রয়েছে। কিন্তু বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে কারোর ধর্মাবেগে আঘাত তিনি করতে পারেন না। তিনি আরো জানিয়েছিলেন, যেমনটা তিনি বলেছিলেন আইনি পদক্ষেপ তিনি নেবেন।

সম্পর্কিত খবর