তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গে জারি হবে রাষ্ট্রপতি শাসন? অমিত শাহ-এর মন্তব্য ঘিরে জোর জল্পনা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) শনিবার বলেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) রিপোর্ট আর সংবিধানের কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উনি বলেন, ‘আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, পশ্চিমবঙ্গে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এমনকি সেখানে ভারত সরকার দ্বারা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা এরজন্য ভারতীয় সংবিধান আর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের রিপোর্টে পরামর্শ করার জরুরী মনে করছি।

অমিত শাহ-এর এই মন্তব্যের পর বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব এবং বিজেপির সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়োর তরফ থেকে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করার দাবি করার পর এসেছে। অমিত শাহ বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতা হিসাবে এই বিষয়ে তাদের অবস্থানটি যৌক্তিকভাবে সঠিক। বাংলায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ”

এর আগে বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) মমতা ব্যানার্জীর (Mamata Banerjee) সরকারের উপর বড়সড় আক্রমণ করেন। উনি বলেন, মমতা ব্যানার্জীর সরকার বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে শুটার ভাড়া করে এনে আমাদের নেতা, কর্মীদের মারছে। উনি বলেন, এটা শুধু অভিযোগই না আমার কাছে প্রমাণও আছে। বিজেপি নেতা বলেন, এই মামলার সিবিআই তদন্ত হলে সমস্ত প্রমাণ পেয়ে যাবেন।

বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘মমতা সরকার বাংলাদেশ থেকে শুটার ভাড়া করে এনে আমাদের নেতা, কর্মীদের মারছে। মমতার সরকার শুটার ডেকে আরও বড় হামলা করতে পারে। মমতা ব্যানার্জী কোভিড ১৯ এর সময় প্রধানমন্ত্রী দ্বারা পাঠানো রেশন খেয়ে নিয়েছেন। তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল পাকায়, বোমা ছোড়ে। মমতার সরকার অন্দর থেকে দুই গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে গিয়েছে।

বিজয়বর্গীয় মমতা সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিরোধী বিশেষ করে বিজেপির নেতা, কর্মীদের মারার জন্য বাংলাদেশ থেকে শুটার আনার অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও গত ৮ই অক্টোবর বিজেপি নবান্ন অভিযানে প্রদর্শনকারীদের উপর রাজ্য সরকার দ্বারা রাসায়নিক জলকামান ছোড়ার অভিযোগ করা হয়েছে। বিজয়বর্গীয় জানান, এই রাসায়নিক যুক্ত জলের কারণে আমাদের অনেক কর্মী অচৈতন্য হয়ে যান।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর