বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবারো মোদি সরকারের (modi government) বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধী(rahul gandhi)। প্রাক্তন কংগ্রেস(congress) সভাপতি সামাজিক মাধ্যম টুইটারে কেন্দ্রে বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতায় স্থগিতাদেশকে ‘অসংবেদনশীল’ ‘অমানবিক’ বলে সামাজিক মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সরকার চলতি বছরে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের জন্য ৪ শতাংশ ডি এ (D.A) বা মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি হচ্ছে। ২০২০ অর্থবছরের প্রথম দিন থেকেই এই হারে ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্স দেওয়া হবে। অর্থাৎ মার্চের বেতন বা পেনশনের সাথেই এবার বর্ধিত ডি এ পাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্র সরকারের কর্মচারীদের।
लाखों करोड़ की बुलेट ट्रेन परियोजना और केंद्रीय विस्टा सौंदर्यीकरण परियोजना को निलंबित करने की बजाय कोरोना से जूझ कर जनता की सेवा कर रहे केंद्रीय कर्मचारियों, पेंशन भोगियों और देश के जवानों का महंगाई भत्ता(DA)काटना सरकार का असंवेदनशील तथा अमानवीय निर्णय है।https://t.co/LTGPf53VsA
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 24, 2020
কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হয়ে চলেছে দেশের অর্থনীতিতে। এই পরিস্থিতিতে বর্ধিত ভাতা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত ৪৯.২৬ লাখ কেন্দ্র সরকারি কর্মী ও ৬১.১৭ লাখ পেনশনভোগীর উপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাহুল গান্ধী বলেছেন, “বহু কোটি টাকার বুলেট ট্রেন প্রকল্প এবং সেন্ট্রাল ভিস্তা বিউটিফিকেশন প্রকল্প স্থগিত না করে জনসাধারণের সেবা করা ডিএ, কেন্দ্রীয় কর্মচারী, পেনশনার এবং জওয়ানদের ডিএ কেটে ফেলা সরকারের একটি সংবেদনশীল এবং অমানবিক সিদ্ধান্ত।”
প্রসঙ্গত মূল্যবৃদ্ধির জন্য জীবনযাত্রার মান কমে না যায় তাই বছরে দুবার সরকারি কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা পেয়ে থাকেন। মূলত মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গেই সামঞ্জস্য রেখে এই বর্ধিত ডি এ দেওয়া হয়। তবে শহর, গ্রাম ও মফস্বলের জন্য মুদ্রাস্ফীতির ভিন্ন সংখ্যা নেওয়া হয়। ফলে সেই অনুসারে তারতম্য ঘটে ডিএ-র হিসাবে। পাশাপাশি কখনোই মূল বেতনের ৫০ শতাংশের বেশী ডি এ দেওয়া হয় না।