বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রায় সব বাড়িতেই আলাদা একটি ঠাকুরঘর (Thakur ghor) থাকে। যেখানে তারা একমনে ভগবানের সাধনা করেন। ৩৩ কোটি দেবতার মধ্যে সকলেই বিশেষ কোন না কোন দেবতার আরাধনা করে থাকেন। তবে বাড়িতে ঠাকুরঘর তো বানিয়েছেন, কিন্তু জানেন কি কিভাবে ঠাকুরঘর সাজালে, ব্যক্তি পূণ্যবান হবেন?
ঠাকুরঘর সঠিকভাবে না সাজালে, আপনি হয়ত দেবতার দ্বারা প্রাপ্য আশির্বাদ থেকে বঞ্চিতও হতে পারে। তাই সর্বপ্রথমে দেবতার থাকার স্থানকে সুন্দর করে সাজাতে হবে। অনেকের মতে ঈশান কোণে কিম্বা বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে আলাদা করে ঠাকুরঘর বানানো শুভ বলে মনে করা হয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকের বাড়িতেই আলাদা ঠাকুরের ঘর থাকে না। সেক্ষেত্রে বাড়ির মধ্যের যে ঘরটি উত্তর পূর্ব দিক করে আছে, সেখানেই ঠাকুরের আসন রাখার উপযুক্ত স্থান।
হলুদ-কমলা রঙের গাঁদা ফুল, রজনীগন্ধা, গোলাপ ও জুঁই ফুলের টাটকা মালা দিয়ে ঠাকুরঘরের প্রবেশের দরজায় সুন্দর করে সাজিয়ে দিন। লম্বালম্বি কিংবা গোল গোল করেও সাজাতে পারেন। ফুলে মিষ্টি গন্ধে ঠাকুরঘরের পবিত্রতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
ঠাকুরঘরে আপনার হাত দিয়ে সুন্দর করে আলপনা এঁকে দিন। বাজার থেকে প্লাস্টিকের আলপনা কিনে না এনে পূজার জায়গায় নিজের হাতে যদি সুন্দর করে আলপনা এঁকে দেন, তাহলে পুজার্চনার মঙ্গলকর প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে আপনার পরিবারের সর্বত্রই। সেসঙ্গে লোকশিল্পীদের আঁকা পটচিত্র দিয়েও ঠাকুরঘর সাজাতে পারেন।
ঠাকুরঘরের সিলিং-এ একটা ঘণ্টা ঝুলিয়ে, ঠাকুরের আসনের দুপাশে নকশা করা পিতলের প্রদীপও রাখতে পারেন। এতে নিজের ঘরেই বেশ একটা মন্দিরের মত অনুভূতি আসবে। এমনকি সন্ধ্যে বেলায় বৈদ্যুতিক আলো না জ্বালিয়ে যদি মাটির প্রদীপ দিয়ে, মোমবাতি দিয়ে, ধূপ, ধুনো দিয়ে সুন্দর করে ঠাকুরঘর সাজাতে পারেন, তাহলে ভগবানের সঙ্গে এক আধ্যাত্মিকতার অনুভব হয়।