আগামী বছর টোকিও অলিম্পিক তার আগেই গাভীর অনিশ্চয়তায় দীপার কেরিয়ার।

জিমন্যাস্টিক্স লক্ষ্য তবে তার থেকে বড় নিজের জীবন। এখন এই প্রশ্নের ঘোরাফেরা করছে বিখ্যাত জিমন্যাস্টিক্স দীপা কর্মকারের মনে। এই মুহূর্তে পুরো বাংলা জুড়ে আগমনী সুর বেজে চলেছে, কিন্তু দীপা কর্মকার এর মনে এখন একটাই চিন্তা কিভাবে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। আগামী বছরেই অলিম্পিক হতে চলেছে টোকিওতে কিন্তু সেই স্বপ্ন বোধহয় আর পূরণ হবে না দীপার। কারণ অলিম্পিকের থেকেও তার জীবনে এখন গুরুত্বপূর্ণ নিজের শরীর। অর্থাৎ চোট মুক্ত জীবন ফিরে পাওয়ায় এখন দীপার জীবনের মূল লক্ষ্য। তাই তাড়াহুড়ো করে অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি না নিয়ে ধীরেসুস্থে দীপাকে পুরোপুরিভাবে চোট মুক্ত করে তোলার কথাই ভাবছেন দীপার কোচ।

এই মুহূর্তে দীপ রিহ্যাবে রয়েছেন নয়াদিল্লিতে সেই সাথে তাকে যেতে হচ্ছে মুম্বাইয়ে। কারণ নয়া দিল্লীতে তিনি নিজের পার্সোনাল ফিজিওর কাছে প্র্যাকটিসের সাথে সাথে মুম্বাইয়ে গিয়ে ডঃ অনন্ত যোশীর কাছে নিয়মিত পরামর্শ নিতে হচ্ছে। সেই সাথে দিপাকে তৈরি হতে হচ্ছে বাস্তবের সাথে অর্থাৎ অলিম্পিকের দরজা যদি তার জন্য বন্ধও হয়ে যায় তাতেও যাতে তিনি ভেঙ্গে না পড়েন সেই প্রস্তুতিতেও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন দীপা কর্মকার।

8107542937ff72eb94b67c1c2c22d9fc7ecff745

দীপার ডাক্তার তাকে জানিয়েছেন যে কয়েক মাসের মধ্যেই দীপা পেয়ে যাবেন ফিট সার্টিফিকেট। কিন্তু দীপার কোচ জানিয়েছেন যে আমি হলাম দীপার কোচ তাই সব সময় ডাক্তারের কথা মেনে কাজ করা ঠিক হবে না। কারণ দীপা ফিট হয়ে যাওয়ার পরেও তাকে গ্রাস করতে পারে তীব্র যন্ত্রণা। তাই শুধুমাত্র দীপার স্পোর্টস জীবনের কথায় নয় বরং স্পোর্টসের বাইরেও দীপার রয়েছে একটা জীবন। সে জীবনের কথা আমাকে ভাবতে হবে আমাকে এমন ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যাতে স্পোর্টস-এর কথা ভাবতে গিয়ে তার প্রভাব জীবনের ওপর না পড়ে। অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন যে আগে নিজের জীবন তারপর অলিম্পিক এবং অন্যান্য বিষয় গুলি।

Udayan Biswas

সম্পর্কিত খবর