বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারত (India) এবং গ্রিসের (Greece) মধ্যে একটি কৌশলগত চুক্তি হচ্ছে। এর জেরে পাকিস্তান এবং চিনের মতো দেশগুলির ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এই চুক্তির মাধ্যমে গ্রিস বাকি বিশ্বকে পূর্ব ভূমধ্যসাগর ও পারস্য উপসাগরে তাদের প্রভাবের একটি আভাস দিতে চলেছে। পাশাপাশি, এই অঞ্চলে তারা তাদের কৌশলগত উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করবে।
এই চুক্তির কারণে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ভারত ও গ্রিস যৌথভাবে একটি যুদ্ধের মহড়া অনুষ্ঠিত করতে চলেছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মহড়া শুধু কূটনৈতিক নয়, বরং সামরিক পর্যায়েও গ্রিসের সঙ্গে অনেক শক্তিশালী দেশের সম্পর্ক ভাল করবে। গ্রিসের সঙ্গে ভারতের এই চুক্তির সূত্রপাত হয়েছিল মার্চ মাসে।
গত ২৭ মার্চ ভারতীয় বায়ুসেনার কয়েকটি বিমান গ্রিসে পৌঁছয়। গ্রিসের বায়ুসেনার দু’টি এফ-৪ই যুদ্ধবিমান এবং ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান এই যৌথ প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিল। গ্রিস জানিয়েছে, বন্ধু রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা জোরদার করাই লক্ষ্য তাদের। তারই অংশ হিসেবে এই যৌথ মহড়াগুলির আয়োজন করা হচ্ছে। মার্চের ওই অনুশীলনের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘গীতা’।
এ বার আরও একটি মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। এর নাম ‘ইনোকোস ২৩’। এই মহড়াটি ১৮ থেকে ২৮ এপ্রিল অবধি সু-৩০ যুদ্ধবিমান নিয়ে করা হবে। এই প্রথম গ্রিসে অনুশীলন করার কথা ভারতীয় বায়ুসেনার। বিশেষজ্ঞদের মতে, মহড়ার আওতায় ভারতের বিমান ঘাঁটিগুলিতেও গ্রিক বায়ুসেনার সদস্যদের দেখা যাবে। দুই দেশই স্পেশাল অপারেশন ইউনিট বা যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে যৌথ প্রশিক্ষণের কথা ভাবতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই মহড়া প্রতি বছরই আয়োজিত হয়। এর অধীনে যুদ্ধবিমানগুলিকে যানজটপূর্ণ পরিবেশে কঠিন মিশন পরিচালনা করতে দেখা যাবে। ভারতীয় এবং গ্রিক পাইলটদের মাটিতে শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে দেখা যাবে। এই মহড়ার ফলে পাকিস্তানের বন্ধুদেশ এবং গ্রিসের প্রতিবেশী তুরস্কের চিন্তা বাড়বে। কারণ তারা গ্রিসের কিছু অংশ দাবি করে। তাই এই মহড়ার ফলে চিন্তা বাড়বে তুরস্কের।