বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে লাগাতার জনগণের রোষের মুখে শাসক দলের প্রতিনিধিরা। এবার গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে তুমুল মার খেলেন তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান (Former Panchayat Pradhan) ও আরও ১ পঞ্চায়েত সদস্য। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দেগঙ্গার (Deganga) নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে।
ঠিক কি ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতায় কালিয়ানি বিল এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থা কারখানা নির্মাণে নেমেছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, এই নির্মাণের জেরে এলাকার নিকাশি ব্যহত হচ্ছে। নিজেদের অসুবিধার কথা জানিয়ে বহুবার তাঁরা পঞ্চায়েতে অভিযোগও করেছেন। তবে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। তাঁদের আরও অভিযোগ, কাটমানির বিনিময়ে বেসরকারি সংস্থাকে কারখানা তৈরি করতে দিয়েছেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান। এদিন এই অভিযোগ নিয়েই স্থানীয় পঞ্চায়েত দফতরে চড়াও হন গ্রামবাসীরা।
নিজেদের অভিযোগ তুলে এলাকার ৭টি গ্রামের বাসিন্দারা পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। শুধু তাই নয়, দফতরের সমস্ত কাজ বন্ধ করে তালাও ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। ক্রমশ্যই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এরপর খবর পেয়ে দফতরে পৌঁছায় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান। এরপরেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়।
অভিযোগ, তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে তুমুল মারধর করেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। তাঁদের হামলার শিকার হন উপস্থিত এক পঞ্চায়েত সদস্যও। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পৌঁছায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। গ্রামবাসীর হাত থেকে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রামবাসীরা তখনও নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থার কারখানা তৈরি জেরে তাঁদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। এলাকার নিকাশি ব্যহত হচ্ছে। কাটমানির বিনিময়ে নিকাশি আটকে কারখানা তৈরির অনুমতি দিয়েছে পঞ্চায়েতের সদস্যরা। অন্যদিকে, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দাবি, সমস্ত নিয়ম মেনে অনুমতি নিয়েই কারখানার কাজ চলছে। তাই কোনোভাবেই কাজ মাঝপথে বন্ধ করা সম্ভব নয়।