দিল্লির মুন্ডকা অগ্নিকাণ্ডে বাঁচিয়েছেন ৫০ জনের প্রাণ, আসল হিরো দয়ানন্দকে কুর্নিশ গোটা ভারতের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দিল্লির মুন্ডকা অগ্নিকাণ্ডে সুপারহিরোর ভূমিকায় ক্রেন অপারেটরের দয়ানন্দ। দিল্লির মুন্ডকা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। তবে এই সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারত যদি না সেখানে উপস্থিত হতেন দয়ানন্দ তিওয়ারি নামক এক ক্রেন অপারেটর। দিল্লির এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এই বহুতল ভবনের বাড়ির মালিক মনিশ লোকরা সহ আরও দুই ব্যক্তিকে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানতে পারা গিয়েছে ইতিমধ্যেই ২৭ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। তার মধ্যে প্রায় ২১ জনই মহিলা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দয়ানন্দ তিওয়ারি নামক এই ক্রেন অপারেটর প্রায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আমি মুন্ডকা উদ্যোগ নগর থেকে ফিরছিলাম সেই সময়ে এই বহুতল ভবনে আগুন লাগার বিষয়টি নজরে আসে। আর সেখানেই আমাদের ক্রেনের সহযোগিতায় আমরা প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ জন মানুষকে উদ্ধার করি, তার মধ্যে অধিক সংখ্যায় মহিলারাই ছিলেন।”

কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় পরবর্তীতে আগুন ভয়াবহ আকার নিলে আর বেশি সংখ্যায় মানুষকে বাঁচানোর সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। প্রায় দেড় ঘণ্টা বাদেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনী। যার ফলে অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। তবে দয়ানন্দের এই কাহিনী প্রকাশ্যে আসার পর থেকে চারিদিকে ওনার ভূয়সী প্রশংসা শুরু হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ওদিকে এই বহুতল ভবনের মালিক তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে প্রতিবেশীদের ছাদ ব্যবহার করেই পালিয়ে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা যায় আগে থেকেই পোড়ার গন্ধ পেয়েছিলেন মনিশ আর সেই কারণেই নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত করতেই প্রতিবেশীদের ছাদ ব্যবহার করে পালিয়ে যান বলেই জানা যাচ্ছে। এই বহুতল ভবনটি প্রথমে কিনেছিলেন মনিশ লোকরার বাবা। পরবর্তীতে ২০১১ সালে এই ভবনটি দায়িত্ব নেন মনিশ নিজেই।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর