বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিল্লী পুলিশের কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব উপদ্রবিদের কড়া হাতে দমনের আদেশ দিয়েছে। প্যারামিলিটারি ফোর্সের ১০ কোম্পানির জওয়ানরা দিল্লীর রাস্তায় নেমেছে। দিল্লী ITO, নাঙলোই আর সিঙ্ঘু বর্ডারে এখনো কৃষকরা উপদ্রব করছে।
এরপর কৃষক র্যালিতে দিল্লীর বেশ কিছু এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পর সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা বয়ান জারি করে বলে যে, ‘আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টার পরের কয়েকটি সংগঠন আর কিছু মানুষ নির্ধারিত পরিকল্পনার লঙ্ঘন করে নিন্দনীয় কাজ করে। র্যালিতে সমাজ বিরোধীরা ঢুকে পড়েছিল, নাহলে র্যালি শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছিল। আমরা সবসময় বলেছি যে, শান্তি আমাদের সবথেকে বড় শক্তি আর শান্তির লঙ্ঘন করলে আন্দোলনে প্রভাব পড়বে।”
We thank farmers for the unprecedented participation in today's Farmers Republic Day Parade. We also condemn and regret the undesirable and unacceptable events that have taken place today and dissociate ourselves from those indulging in such acts: Samyukta Kisan Morcha
— ANI (@ANI) January 26, 2021
বয়ানে আরও বলা হয়, ‘গণতন্ত্র দিবসে আয়োজিত ট্রাক্টর র্যালিতে কৃষকদের অভূতপূর্ব সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাই। এর সাথে সাথে বাঞ্ছিত এবং অনস্বীকার্য ঘটনা গুলোর নিন্দা করি আমরা। আমরা হিংসার জন দুঃখ প্রকাশও করছি। আমাদের মোর্চা এসব ঘটনা থেকে নিজেদের আলাদা রেখেছে। এর সাথে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।”
Despite all our efforts, some orgs & individuals violated route & indulged in condemnable acts. Anti-social elements had infiltrated the otherwise peaceful movement. We've always held that peace is our biggest strength& any violation would hurt the movement: Samyukta Kisan Morcha
— ANI (@ANI) January 26, 2021
জানিয়ে রাখি, দেশের রাজধানী দিল্লীর সীমান্তে নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দুই মাস ধরে আন্দোলন করা কৃষকরা আজ দিল্লীতে ট্রাক্টর র্যালি বের করে। ট্রাক্টর র্যালি চলাকালীন বেশ কিছু জায়গায় কৃষকদের আন্দোলন উগ্র হয়ে যায়। কৃষকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লীতে ঢুকে পড়ে আর লাল কেল্লায় নিজেদের পতাকা তোলে। রাজধানীর কয়েকটি জায়গায় কৃষক আর পুলিশ কর্মীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাধে।
দিল্লীতে কৃষকদের ডাকা ট্রাক্টর র্যালি উগ্র চেহারা নিয়ে নেয়। ITO তে তুলকালাম কাণ্ড করে কৃষকরা লাল কেল্লায় পৌঁছে যায়। সেখানে গিয়ে কৃষকরা হাঙ্গামা করে। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। পুলিশ বল প্রয়োগ করে লাল কেল্লা চত্বর খালি করে। পুলিশের লাঠিচার্জে অনেকেই আহত হয়। আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়।