বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ সালের জুলাই মাসেই তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। সমাজমাধ্যমে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে তাঁকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এই রায় ফের বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দিল আদালত।
দিল্লি হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ!
২০২১ সালের জুন মাসে ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু টুইট করেছিলেন জোড়াফুল সাংসদ সাকেত গোখলে (Saket Gokhale)। সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ও তাঁর স্ত্রী তথা সাবেক কূটনীতিক লক্ষ্মী পুরীর সুইজারল্যান্ডে কেনা আবাসন নিয়ে নানান প্রশ্ন তোলেন। পুরী দম্পতির সম্পত্তির বিষয়ে ইডি তদন্ত চাওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ওই টুইটগুলিতে ট্যাগ করেছিলেন সাকেত।
এই নিয়ে তীব্র জলঘোলা হয়েছিল। জল গড়ায় আদালত অবধি। পরবর্তীতে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ওই বিতর্কিত টুইটগুলি মুছে দেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ। তবে তা সত্ত্বেও মানহানির মামলা থেকে মুক্তি মেলেনি। উচ্চ আদালতের তরফ থেকে তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ হু হু করে কমবে চিকিৎসার খরচ! আমজনতার মুখ চেয়ে এবার নজিরবিহীন নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
এই রায় পুনরায় বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন সাকেত। তবে তাতে কোনও সুরাহা হল না। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পুরুষেন্দ্র কুমার কৌরব তাঁর এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। বিচারপতির নির্দেশ, আইন মেনে ১৮০ দিনের সময়সীমার মধ্যে রায় পুনরায় বিবেচনা করার আর্জি জানানোর কথা। তবে তৃণমূল সাংসদ সেটা করেননি। সেই জন্য তার আর্জি খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে।
দিল্লি হাইকোর্টের দেওয়া পুরনো নির্দেশই বহাল রাখা হয়েছে। মানহানিতে দোষী সাকেতের মাসিক বেতন থেকে দুই-তৃতীয়াংশ কেটে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এর আগেই অবশ্য তৃণমূলের (Trinamool Congress) এই রাজ্যসভার সাংসদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দলের বাকি ৪০ জন সাংসদ। প্রত্যেকে সাকেতকে মাসিক ৪০০০ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দলীয় স্তরে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।