বাংলা হাট ডেস্কঃ এর আগেও বারবার সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন বিরোধীরা। অনেকের মতে দেশে যখন কোভিডের এত বাড়বাড়ন্ত, অর্থনীতির বেহাল দশা, তখন অন্যদিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজের তালিকায় কেন সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নতুন দিল্লিতে রাইসিনা হিলসের কাছে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট অবধি প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই প্রজেক্ট তৈরি স্বপ্ন দেখেছিল কেন্দ্র সরকার। যার মধ্যে থাকবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, বেশকিছু মিউজিয়াম, নতুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং একটি নতুন সাংসদ ভবন। ২০১৯ সালে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা জনসমক্ষে এসেছিল সর্বপ্রথম। আনুমানিক খরচ প্রায় কুড়ি হাজার কোটি টাকা।
তারপর থেকেই একাধিক বার এই প্রজেক্ট নিয়ে আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। এমনকি এই প্রকল্পের ফলে দিল্লির ৮৬ একর সবুজ ধ্বংসের প্রসঙ্গও উত্থাপিত হয়েছে আদালতে। তবে প্রতিবারই ছাড়পত্র দিয়েছেন বিচারপতিরা। এমনকি জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট থেকেও ছাড়পত্র পেয়েছিল সেন্ট্রাল ভিস্তা। আরো একবার দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে খারিজ হলো সেন্ট্রাল ভিস্তা পুনঃ নির্মাণ প্রকল্প বন্ধের দাবি। কিছুদিন আগেই কোভিড কালে এই প্রজেক্ট নির্মাণের কাজ বন্ধ না রাখলে করোনা বৃদ্ধি হতে পারে এই মর্মে আদালতে মামলা করেছিলেন বেশকিছু আবেদনকারী। কিন্তু আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই নির্মাণকার্যের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা সেখানেই থাকছেন। তাই আলাদা করে কোভিড ছড়িয়ে পড়ার কোনো কারণ নেই। তাই এই প্রজেক্টের কাজ বন্ধের কোন প্রশ্ন ওঠেনা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রজেক্টটি নিয়ে বারবারই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইটে লিখেছিলেন, দেশবাসী প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি চায়না, শ্বাস চায়। কটাক্ষ করা হয়েছিল অন্য দলের তরফেও। তবে আদালতের এই রায়, বিরোধীদের মুখ ফের একবার বন্ধ করে দিল বলেই অভিমত বিশ্লেষকদের।