বাংলাহান্ট ডেস্ক : ট্রেনের সংরক্ষিত টিকিট থাকার পরও মেলেনি বার্থ। ফলে দ্বারভাঙ্গা থেকে দিল্লি অবধি ট্রেনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই যেতে হয়েছিল এক অসুস্থ ব্যক্তিকে। ফিরে গিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই মামলার ১৪ বছর পর ওই যাত্রীর পক্ষে রায় দিল গ্রাহক আদালত। এই মামলায় রেলওয়েকেই দোষী সাব্যস্ত করেছে বিচারপতিরা।
আজ থেকে চোদ্দ বছর আগে, ২০০৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দ্বারভাঙ্গা থেকে দিল্লি আসার জন্য ২০০৮ সালেরই ৩ জানুয়ারি ফ্রিডম ফাইটার এক্সপ্রেসে একটি টিকিট অগ্রীম বুক করেন ইন্দ্রনাথ ঝাঁ নামের এক ব্যক্তি। ওই ট্রেনের এস ৪ কম্পার্টমেন্টের ৬৯ নম্বর বার্থটি তাঁর নামেই সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু ভ্রমণের সময় সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও প্রায় ২২ ঘন্টা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে বাধ্য হন তিনি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।
গ্রাহক আদালতের এই রায়ে রেলের পরিষেবায় গলতির কারণে যাত্রীর এই অসুবিধার জন্য শুধু ক্ষতিপূরণই নয় মামলার খরচও রেলকেই দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফরিদাবাদের বাসিন্দা ইন্দ্রনাথ ঝাঁ এর এই মামলার নিষ্পত্তি করার সময় এমনই রায় ঘোষণা করেছেন জেলা ভোক্তা আদালতের কমিশনের চেয়ারপার্সন মণিকা শ্রীবাস্তব এবং ওই কমিশনের সদস্য রশ্মি বান্দাল এবং রাজেন্দ্র ধরের বেঞ্চ।
আদালতের রায়ে বলা হয়, মানুষ ট্রেনের টিকিট অগ্রীম সংরক্ষণ করে যাতে আরামদায়ক ভাবে ভ্রমণ করতে পারে। কিন্তু উক্ত ক্ষেত্রে অভিযোগকারী শুধুমাত্র শারীরিক এবং মানসিক সমস্যারই সম্মুখীন হননি, বরং এক মাস আগে টিকিট বুকিং করার পরও অশোভন আচরণের সম্মুখীন হয়েছেন। এই ঘটনা থেকে একথাই স্পষ্ট যে পুরো ঘটনার জন্য রেলওয়ের খারাপ পরিষেবা এবং অবহেলাই দোষী।