বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত বেশ কিছুটা সময় ধরে শিরোনামে রয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে তাঁর ‘সংঘাতে’র কথা নতুন কিছু নয়। এখন যেমন ভগবানগোলা এবং বরানগরের দুই জয়ী তৃণমূল বিধায়কের শপথ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অত্যন্ত বিরক্ত বলে খবর। এর মাঝেই সামনে এল বড় খবর। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের (West Bengal Governor) পদ থেকে বোসকে সরিয়ে দেবে দিল্লি? শুরু হয়েছে জল্পনা।
অবিলম্বে যাতে রাজ্যপালের (Governor) পদ থেকে বোসকে সরানো হয়, সেটা নাকি ইতিমধ্যেই দিল্লিকে ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলা। তবে চমকপ্রদ বিষয় হল, শুধুমাত্র তৃণমূল (Trinamool Congress) নয়, রাজ্যপালকে নিয়ে নাকি বঙ্গ বিজেপির একাংশের মনেও বিরক্তির সঞ্চার হয়েছে। বোসকে সরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) রাজ্যপালের আসনে অন্য কাউকে বসানো হোক, তারাও নাকি এটাই চাইছেন।
মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, বঙ্গ বিজেপির (BJP) এক হেভিওয়েট নেতা নাকি এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পরিষ্কার জানিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং পরে দু’বারই এই বিষয়ে জানানো হয়েছে তাঁকে। রাজ্যপালের অতিসক্রিয়তার ফলে খারাপ ছাড়া ভালো হচ্ছে না। এমনকি সাম্প্রতিক অতীতে তাঁর বিরুদ্ধে যেমন ধরণের অভিযোগ উঠেছে, তাতে গেরুয়া শিবির অস্বস্তিতে পড়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রামে BJP কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের ৪৭টি মামলায় বিরাট নির্দেশ! হাই কোর্টের এক রায়ে তোলপাড়!
এদিকে গত এক দশকে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের সমীকরণ অনেকটা বদলেছে। অনেকখানি আড়ষ্টতা এসেছে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, লোকসভা নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান অনেকখানি পোক্ত হয়েছে। নানান কারণে গত কয়েকদিনে তাঁকে ফোন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রমুখ। অনেকের অনুমান, এটা কেন্দ্র-রাজ্যের বোঝাপড়ার একটা ইঙ্গিত হতে পারে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, রাজ্যের শাসক দল এবং বিরোধী দলের একাংশ যেহেতু রাজ্যপালের পদে আর বোসকে চাইছে না তাই শীঘ্রই এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে দিল্লি। আগামী ৩ জুলাই সংসদের চলতি অধিবেশন শেষ হবে। এরপর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বদলের বিষয়ে নর্থ ব্লক এবং সাউথ ব্লক সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে খবর।