বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। ১১ বছর পর অবশেষে দিল্লির সকল বিধায়ক থেকে শুরু করে মন্ত্রীদেরও বেতন বহু গুণে বৃদ্ধি পেতে চলেছে। একই সঙ্গে বিধানসভার স্পিকারের বেতন বাড়বে বলে খবর সামনে উঠে আসছে। বহু টালবাহানার পর অবশেষে এদিন দিল্লি বিধানসভার অধিবেশনে দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত একটি বিল পেশ করা হয়। এদিন সকল এমএলএ এবং মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে মন্তব্য প্রকাশ করেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।
এদিন বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন অর্থমন্ত্রী কৈলাস গেহলট দ্বারা আনা বিল অনুযায়ী, এবার থেকে দিল্লিতে সকল বিধায়কদের মাসিক স্যালারি ১৮ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেতে চলেছে। এক্ষেত্রে ১২০০০ টাকা থেকে তাদের বেতন বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৩০ হাজার টাকা। উল্লেখ্য, ভাতা সহ অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধা মিলিয়ে এতদিন পর্যন্ত ৫৪ হাজার টাকা হাতে পেতেন সকল বিধায়করা আর এবার থেকে সেই বেতন করতে চলেছে ৯০ হাজার টাকা।
তবে দিল্লিতে আম আদমি পার্টি সরকারের এই প্রচেষ্টা আজকের নয়। ২০১৫ সালে এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব কেন্দ্র সরকারের কাছে নিয়ে আসে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। তবে সেই সময় কেন্দ্র দ্বারা তাদের সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে দিল্লি সরকারের নতুন করে বেতন বৃদ্ধির এই বিলটি কেন্দ্রের পরামর্শ অনুযায়ী হয়েছে বলে খবর। তবে শুধুমাত্র বিধায়ক কিংবা স্পিকার নন, বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে মুখ্য সচেতকদের বেতন বৃদ্ধি হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১১ এর মধ্যে পাঁচবার বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এই প্রক্রিয়া এক প্রকার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আর এবার পুনরায় একবার বিধায়কদের বেতন বহুগুনে বৃদ্ধি পেতে চলেছে। বিধানসভার পেশ করা বিল অনুযায়ী, এবার থেকে বিধায়কদের মোট বেতন হতে চলেছে ৯০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে অবশ্য দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি বেতন পেয়ে থাকেন তেলেঙ্গানা নেতারা। সে রাজ্যের এমএলএ-দের প্রতি মাসে বেতনের পরিমাণ ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।