নাগরিকতা আইন (CAA) নিয়ে দেশ জুড়ে বিরোধ প্রদর্শন লাগাতার বেড়েই চলেছে। দিল্লীর (Delhi) জামিয়া নগরে এই আইনের বিরুদ্ধে হওয়ার প্রতিবাদ আজ হিংসার চেহারা নিয়ে নেয়। প্রদর্শনকারীরা তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়, আর একটি ফায়ার ব্রিগেডের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। হিংসা দেখে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয় এলাকায়। আরেকদিকে, পুলিশ জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jamia Millia Islamia) ঢুকে হিংসা ছড়ানো ছাত্রদের মারধর করে। দিল্লীতে হওয়া এই প্রদর্শনের কারণে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল আর দিল্লী বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারি ট্যুইট করেন।
Delhi: Delhi Transport Corporation (DTC) buses set ablaze by protesters near Bharat Nagar over #CitizenshipAmendmentAct. One fire tender was rushed to the spot. Two firemen also injured. More details awaited. pic.twitter.com/j6vH9tG8O4
— ANI (@ANI) December 15, 2019
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ঢোকার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের চীফ প্রোফেসর ওয়াসিম আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে। পুলিশকে ঢোকার জন্য কেউ অনুমতি দিয়েছিল না। আমাদের কর্মচারী আর ছাত্রদের পেটায় পুলিশেরা, আর তাঁদের মারধর করে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করে পুলিশ।” জামিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর নজমা আখতার পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে বলেন, ছাত্রদের লাইব্রেরী থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। পুলিশের পদক্ষেপ নিন্দনীয়। আরেকদিকে, জামিয়া ছাত্র সঙ্ঘ জামিয়া নগরে হিংসক প্রদর্শনে ছাত্রদের হাত আছে বলে অস্বীকার করেন। জামিয়ার শিক্ষক সঙ্ঘও উগ্র প্রদর্শনে জামিয়ার ছাত্রদের কোন হাত নেই বলে জানিয়েছে।
Delhi: Protesters, including students of Jamia Millia Islamia University hold a demonstration against #CitizenshipAmendmentAct on Kalindi Kunj Road. pic.twitter.com/eS1HA1sr8u
— ANI (@ANI) December 15, 2019
আরেকদিকে, বিক্ষোভের কারণে দিল্লী ট্র্যাফিক পুলিশ আখোলা আন্ডারপাস থেকে শুরু করে সরিতা বিহার পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে দেয়। আর ওই রাস্তায় যাতে কোন যানবাহন না যায়, তাঁর জন্য একটি অ্যাডভাইসরি জারি করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা মথুরা রোডের উল্টোদিকে নিউ ফ্রেন্ডস কলোনির সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের দেখে আশেপাশের অনেক দোকানদার নিজেদের দোকান বন্ধ করে নেয় ভয়ে। রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের হিংস্বাত্মক রুপ দেখে আশেপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভের ফলে গোটা রাস্তায় চরম জ্যামের সৃষ্টি হয়। ছোট বড় সব গাড়িই জ্যামের মধ্যে ফেসে যায়। জামিলা মিল্লিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হিংস্বাত্মক রুপ দেখে পুলিশ তাঁদের উপর লাঠি চালাতে বাধ্য হয়। আরেকদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায় যে, যেহেতু এই আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরের বাইরে হয়েছে, সেহেতু এখানে অনেক বহিরাগতরা ঢুকে অশান্তি সৃষ্টি করেছে।