বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, হাওড়ার (Howrah) বুকে একটি গাড়ি থেকে ৪৯ লাখ টাকা উদ্ধার করার ঘটনায় গোটা বাংলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আর এবার সেই আঁচ গিয়ে পড়লো দিল্লিতে (Delhi)। হাওড়ায় তিন কংগ্রেস (Congress) বিধায়কের গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় বড় কোন ষড়যন্ত্র থাকতে পারে, এই সন্দেহে তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ এবং সিআইডির (CID) যৌথ টিম। তবে এদিন তাদের সেই তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকি, ওয়ারেন্ট থাকা সত্ত্বেও সিআইডি টিমকে থানায় বসিয়ে রাখার অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার হাওড়ার পাঁচলা এলাকায় একটি গাড়িকে আটক করে পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের সেই গাড়িটি থেকে ৪৯ লাখ টাকা উদ্ধার করার পাশাপাশি কংগ্রেসের তিন বিধায়ককে আটক করে তারা। পরবর্তীতে তদন্ত চলাকালীন আরো বেশ কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়, যার পরে আদালতের নির্দেশে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যায় সিআইডির একটি টিম। সেই তদন্তের স্বার্থে এদিন দিল্লিতে সিদ্ধার্থ মজুমদার নামে এক নেতার বাড়িতে হানা দেয় তারা। অভিযোগ, সেই সময় দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে বাধা দেওয়া হয় তাদের। সিআইডি সূত্রে খবর, ওয়ারেন্ট থাকা সত্ত্বেও এদিন তাদেরকে আইনবিরুদ্ধভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা আদালতের অবমাননা বলে দাবি করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে, প্রথমে দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে টিম পাঠানোর পাশাপাশি সহায়তা করা হলেও পরবর্তীতে বাধা দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। এই অভিযোগ সামনে আসার পরই কলকাতা থেকে ইতিমধ্যে সিআইডির এডিজি এবং দুজন এজি অফিসার দিল্লিতে রওনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে অগ্রসর হয়েছেন। সূত্রের খবর, হাওড়ায় উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডে বিধায়ক কেনাবেচার সূত্র থাকতে পারে। এমনকি, এই ঘটনায় বর্তমানে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার যোগ থাকতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে।
সিআইডির দাবি, সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে এই মামলাটির যোগ থাকতে পারে। সেই কারণেই এদিন তার বাড়িতে তল্লাশি চালায় তারা। বর্তমানে সিদ্ধার্থের সঙ্গে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলেও অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এদিন সিআইডির তল্লাশি সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। তবে বর্তমানে এই সকল ঘটনাকে ছাপিয়ে দিল্লি পুলিশের দ্বারা সিআইডিকে বাধা দেওয়ার ঘটনাটি ক্রমশ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে, বাংলা থেকে আরও তিন অফিসারের দিল্লি উড়ে যাওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি কতদূর সামাল দেওয়া যায়, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।