বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মার (Ankit Sharma) পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে যে তাঁকে ৪০০ এর বেশিবার চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়। অঙ্কিত শর্মার মৃত্যুর পর এখনয়া অধরা মূল অভিযুক্ত। উত্তর পূর্ব দিল্লীতে শুধু অঙ্কিত শর্মাই না, আরও অনেক মানুষ অত্যাচারের শিকার হয়েছে। যেমন ১৯ বছরে বিবেক। উপদ্রবিরা বিবেকের মাথায় ড্রিল ম্যাশিন ঢুকিয়ে দিয়েছিল। আরেক হিন্দু প্রীতি, যে নিজের ৫ আর ৯ বছরের সন্তানের জীবন বাঁচাতে তাঁদের ছাদ থেকে ফেলে দেয়।
দৈনিক জাগরণ এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, আজও প্রীতি সেই মুহূর্তের কথা মনে করে শিউরে ওঠে। চোখে মৃত্যুর ভয় দেখা যায় আর গলাও শুকিয়ে যায়। প্রীতি জমুনা বিহারের বি ব্লকের বাসিন্দা। ২৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর আর তাঁর পরিবারের মৃত্যু একেবারে আসন্ন ছিল। ওই দিন উত্তর পূর্ব দিল্লীর অনেক এলাকায় দাঙ্গা হয়। যদিও তাঁর আগের দিনেই দিল্লীতে প্রতিবাদের নামে দাঙ্গা শুরু হয়েছিল।
প্রীতির জানায় ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সে নিজের চোখের সামনে মৃত্যু দেখেছিল। দাঙ্গাকারিরা পেট্রোল বোমা ছুঁড়ছিল। সে নিজের চোখে নিজের ঘোর জ্বলতে দেখেছিল। উপদ্রবিরা সামনে থেকে তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছিল। আর ঘরের ভিতরে প্রীতির সাথে তাঁর স্ত্রী আর তাঁর দুই সন্তান ছিল পেট্রোল বোমা ছোঁড়ার কারণে ঘরে আগুন লেগে গেছিল।
প্রীতি জানায়, ‘আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমি আমার সন্তানদের জীবন বাঁচাতে বাড়ির ছাদ থেকে তাঁদের নীচে ফেলে দিই। নীচে থাকা মানুষ আমার দুই সন্তানকে ধরে নেয়, আর তাঁদের প্রাণ বেঁচে যায়।” আপনাদের জানিয়ে দিই প্রীতির দুই সন্তানের বয়স ৯ আর ৫ বছর।
এরপর প্রীতি আর তাঁর স্বামী দীপক গুপ্তা কোনমতে বাড়ির দ্বিতীয় তলে পৌঁছায়। সেখান থেকে পিছনের রাস্তা ধরে কোনমতে তাঁরা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়। প্রীতি জানায়, প্রচুর পরিমাণে উপদ্রবিরা সকাল থেকে তাঁদের বাড়ির সামনে হাঙ্গামা করছিল। প্রথমে চার থেকে পাঁচজন পুলিশ ছিল, কিন্তু ওঁরা উপদ্রব শুরু করলেই পুলিশ সেখান থেকে পালিয়ে যায়।