বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) জাহাঙ্গিরপুরী দাঙ্গায় পুলিশের জালে বাঙালি! জানা গিয়েছে যে সেই এলাকায় হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় অভিযুক্ত ২৪ জনের মধ্যে থাকা মহম্মদ আসলামের সঙ্গে বঙ্গ-যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। খবর পাওয়া গিয়েছে যে মহম্মদ আনসার হলদিয়ার ডোকারের বাসিন্দা, লকডাউনের সময় তিনি সেখানেই ছিলেন।
সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী আনসার হলদিয়ার রীতিমতো অভিজাত পরিবারের সন্তান, তাদের নিজস্ব পারিবারিক ব্যবসাও রয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশের ২০ টি তদন্তকারী দলকে এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত আনসারের স্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাহাঙ্গিরপুরী এলাকার হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা যখন একটি মসজিদের সামনে দিয়ে যায় তখন সময় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়ে। যারা শোভাযাত্রা বার করেছিল তাদের দাবি শোভাযাত্রা চলাকালীন স্থানীয়রা ইট-পাথর ছোঁড়া শুরু করে। কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে মসজিদ পক্ষর দাবি শোভাযাত্রা থেকেই স্থানীয় দোকানপাটে ও মসজিদে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করা হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ জানতে পেরেছে যে শনিবার শোভাযাত্রাটি চলাকালীন জাহাঙ্গীরপুরীর সি ব্লকের মসজিদের উপরে মসজিদের ইমাম এবং অন্যান্য লোকেরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। সূত্রের খবর, ইমামই ফোন করে মামলায় অভিযুক্ত আনসারকে ডেকেছিলেন। পরে আনসাররা তার ৪-৫ জন সঙ্গী নিয়ে মসজিদের বাইরে পৌঁছে মিছিলে থাকা লোকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করে।
ঠিক দুই বছর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA-কে কেন্দ্র করে দিল্লির এই অংশটিতেই মারাত্মক দাঙ্গা হয়েছিল। সেবার সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৫৩ জন নিহত হন এবং তাছাড়া আহত হন আরও কয়েকশো মানুষ। বহু মানুষ নিখোঁজও ছিলেন। তারপর থেকেই স্পর্শকাতর এলাকা বলে পরিচিত হলেও এখন পুলিশের দাবি, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা