বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি দিল্লীর যন্তর-মন্তরের পাশে প্রায় ৫ হাজার মানুষ অনুমতি ছাড়াই একত্রিত হয়। এরপর তাঁরা সেখানে জড়ো হয়ে স্লোগানও দিতে থাকে। অনুমতি না নিয়ে জমায়েত এবং মহামারী আইন ভাঙার ফলে দিল্লী পুলিশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে হিন্দুত্ববাদি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নেতারা রয়েছেন। দিল্লীর যন্তরমন্তর থেকে তাঁরা হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর দাবি তুলেছে।
উল্লেখ্য, ৮ আগস্ট দিল্লীর যন্তর মন্তরে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। জানা যায় যে, এই দিনের প্রস্তুতি তাঁরা বিগত ৮ মাস ধরে নিচ্ছিল। বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদি সংগঠন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ও ছিলেন।
অশ্বিনী উপাধ্যায় এই অনুষ্ঠানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতেও আপলোড করেছিলেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। দিল্লীর যন্তর মন্তরে জড়ো হওয়া মানুষেরা দেশে অভিন্ন আইনবিধি জারি করার দাবি করেন এবং দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোরও দাবি করেন। এমনকি এই অনুষ্ঠান থেকে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
যন্তরমন্তরে জড়ো হওয়া লোকেরা বিদেশির বদলে দেশে স্বদেশী আইন লাগু করার দাবি করেছে। তাঁদের দাবি ছিল, ভারতের স্বাধীনতার আগে তৈরি হওয়া সমস্ত আইন বদল করে নতুন আইন বানানো হোক।